• কোটচাঁদপুর উপজেলা জুড়ে চলছে ভাংচুর লুটপাট নীরব চাঁদাবাজি আতঙ্কে এলাকা বাসী

      প্রতিনিধি ১১ আগস্ট ২০২৪ , ৯:০২:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    কোটচাঁদপুর ঝিনাইদহঃ প্রতিনিধি

    বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের একদফা দাবিতে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। এরপর বিজয় উল্লাসে মেতে ওঠে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। বিজয় মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে রাজপথ দখলে নিয়েছে বিএনপি-জামায়াতসহ অন্যান্য দলগুলো। এরই মাঝে পৌর শহর সহ উপজেলার প্রতান্ত অঞ্চল জুড়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চলছে নিরব চাঁদাবাজি। জোরপূর্বক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে টাকা। টাকা না দিলে দোকান বন্ধ ও আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। লুট করা হচ্ছে বাওড়ের মাছ সহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল । খোঁজ নিয়ে জানা যায় , ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় নীরব চাঁদাবাজি শুরু হয়েছে। বিশেষ করে সংখ্যালঘু ও সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শহরের একটি গ্রুপ ও গ্রাম অঞ্চলের কিছু অসাধু লোক ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের জন্য এই চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত বলে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। ভয়ে তারা মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। তাদের নাম বললে মেরে ফেলারও হুমকি দিচ্ছেন।কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শহরে ১০-১২ জনের একটি গ্রুপ চাঁদাবাজি করেছে। রাত হলেই তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে টাকা নিয়ে আসছে। পাড়া মহল্লায় গিয়ে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। দোকান বন্ধ থাকলে ফোন করা হচ্ছে তাদের। তাদের চাহিদা মতো টাকা দিতে হচ্ছে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মারধর ও আগুন দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধীক ব্যক্তি বলেন, ৫ তারিখের পর থেকে তার বিভিন্ন ভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে কথা হলে তারা জানান, যারা চাঁদাবাজি, লুটপাট করছে তার কোনো দলের লোক না।তৃতীয় একটা পক্ষ। যখন যারা ক্ষমতায় থাকে তখন তাদের লোক। গিরগিটির মত রং পাল্টে রাতারাতি তাদের হয়ে যায় তারাই এই অরাজগত চালাচ্ছে। তবে যদি কেউ প্রমাণ দিতে পারে তারা দলীয় নেতা কর্মী সে যে দলের হোক তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে এবং দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে জানান। এ বিষয় জানার জন্য কথা বলতে কোটচাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ সৈয়দ আল-মামুনের মুঠোফোন কল দিয়ে রিসিভ না করাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

    আরও খবর

    Sponsered content

    Design & Developed by BD IT HOST