নিজস্ব প্রতিবেদক শরীয়তপুর :
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নোংরা পরিবেশ বিষিয়ে তুলছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের জীবন। কিন্তু ভালো চিকিৎসা পেতে গ্রাম থেকে রোগীরা ছুটে আসেন এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে ওয়ার্ডের পাশেই রয়েছে টয়লেট। যা দেখে মনে হয় কয়েক সপ্তাহ থেকে পরিষ্কার করা হয়নি। টয়লেটের দুর্গন্ধের কারণে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা দায়। বেসিন ভাংগা, পানি সাথে মাটি ও ময়লায় কারনে গা ঘিনঘিন করার মতো বিশ্রি অবস্থা।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে পুরানো ও নতুন বিল্ডিং দেখা যায় পানির ট্যাংক শেওলা আর ধুলায় বিবর্ন হয়েছে। পুরানো ও নতুন বিল্ডিংয়ের মাঝে পলিথিন, ঔষধ বর্জ্যসহ জমে আছে ময়লার স্তূব। আর বাথরুমে ভাংগা বেসিন, আর ময়লায় পরিপূর্ণ টয়লেট। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে তা থেকে। নোংরা পানি জমে ডেঙ্গু উৎপাদনের কারখানা হয়ে আছে ড্রেনগুলো। খোদ মেঘালয় এর শিরির নিচেও রয়েছে ময়লার স্তূব।
২০২২ সালে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য ১লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়ার পরেও নোংরা হয়ে আছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি।
জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জন সুইপার কর্মরত রয়েছেন। অতিরিক্ত আরো একজনকে বিশেষভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২ জন সুইপার সকালে আর ২জন রাতে কাজ করে বলে জানা যায়। সু্ইপার পদে নিয়োগকৃতরা হলেন জৈবুনন্নেসা,লাবনী আকতার,মিনারা ও পার্বতী।
হাসপাতালে আসা দর্শনার্থী মাইনুল হোসেন বলেন,পুরানো বিল্ডিংয়ে সিঁড়ি দিয়ে হাসপাতালের উপরে উঠতেই দুর্গন্ধ নাকে লাগে। হাসপাতালের বেডের জানালার পাশে নিচের তালায় দিনের পর দিন ময়লার স্তূপ জমে থাকলেও সেগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে না। আর বাথরুমে ঢুকলেতো বমি চলে আসে। মেডিকেল অফিসারগন নতুন বিল্ডিংয়ে বসে আর রোগি পুরানোতে।নতুন বিল্ডিংয়ে করা হয়েছে কেবিন,সেখানে সবাই থাকতে পারে না।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী রাহিলা বেগম অসুস্থ কন্ঠে দৈনিক প্রথম সকালকে বলেন, জানালা দিয়ে ‘ময়লার স্তূপ থেকে আসা দুর্গন্ধ সহ্য করার মতো না। এই দুর্গন্ধ আর টয়লেটের দূর্গন্ধ অনেক রোগী আরও অসুস্থ হয়ে পরেন। আর পুরানো বেডে রক্ত ও ময়লার দাগ স্পষ্ট, যা পাশে থাকা রোগিদের মন বিষিয়ে তোলে।হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্টাফ সবাই এটা জানেন, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
অভিযোগের বিষয়ে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাহমুদুল হাসান জানান, হাসপাতাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য এক লক্ষ টাকা বরাদ্দ আসে তা দিয়ে হাসপাতালে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করানো হয়েছে। হাসপাতালে ময়লা আবর্জনা সাময়িক ভাবে জমা হলেও ঘন্টার মধ্যে তা পরিস্কার করা হয়। কিন্তু এ বিষয়ে আরো জনবল দরকার।