নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
মনে সততা না থাকলে কলমে সাহসী লেখা উঠে না। জাতীয় ভাবে যতগুলো সংবাদ প্রকাশিত হয় তাঁর সিংহভাগ মফস্বলের সাংবাদিকরাই প্রেরণ করে থাকেন। বাস্তবতায় এই সংবাদ সেবীদের অবস্হা সবচেয়ে বেশী অবহেলিত।
সাংবাদিকদের জাতির বিবেক বলা হলেও তাঁরা যখন কষ্ট করে একটা দূর্নীতির সংবাদ পরিবেশন করেন, তখন রাষ্ট্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কতৃপক্ষ উক্ত সংবাদকর্মীর পক্ষে নীতিগত অবস্হানে থাকেন না। বরং পক্ষপাত দুষ্ট আচরণের কারণে বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে থাকেন।
তা ছাড়া কোন সাংবাদিক বিপদগ্রস্ত হলে অন্যান্য কলিগরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে প্রতিবাদ করতে দ্বিধাগ্রস্হ থাকেন বিধায় দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা আশকারা পেয়ে অবৈধ কার্যক্রমে বেশী বেশী উত্সাহী হন।
দেশের অধিকাংশে সেটেলমেন্ট অফিসে ঠান্ডা মাথায় যেসব দূর্নীতি চলে, সে বিষয়ে খোদ ভূমি মন্ত্রণালয়ের কাছে কোন হিসেব আছে কিনা সন্দেহ ।
বাস্তবতায়, যথাযথ কতৃপক্ষের নজরদারির অভাবে সার্ভেয়ার, তহশিলদারের দূর্নীতি চারিদিকে ভাইরাসের মত ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক সেবা গ্রহণকারি সঠিক ভাবে জানেনও না কীভাবে উক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।
সম্প্রতি জামালপুর জেলার স্হানীয় সাংবাদিক মোশাররফ হোসেন সরকার সার্ভেয়ার রহুল আমিনের বিরুদ্ধে দূর্নীতির রিপোর্ট তৈরি করেন। উক্ত রহুল আমিন নিজকে রক্ষা করার জন্য উক্ত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা ঠুকে দেন। সূত্রঃ জামালপুর সদর থানার AFIR নং ১৫১/২৩ তারিখ: ০৪/০৫/২৩ , ধারা: ২০১৮ সালের নিরাপত্তা আইনের ২৫ (১) (ক) /২৯(১) বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিসেট্রট মামুন হাছান খানের আদালতের মামলা নাম্বার ননজিআর- ৮০/২৩ , মোতাবেক বিজ্ঞ আদালত আগামী ১২/০৬/২০২৩ তারিখ হাজির হবার জন্য সমন জারি করেন ।
অনেক আগেই ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে সার্ভেয়ার রহুল আমিন সহ তার শশুর ও শালা (এক সময় পুলিশের বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ভাইরাল হওয়া ) মাফিদুল ইসলাম নয়নের বিরুদ্ধে জামালপুর সদর থানায় জিডি করেন সাংবাদিক মোশাররফ হোসেন সরকার ।
জনৈক ভুক্তভোগী আবুল হাকিম নামের এক ব্যক্তি উক্ত মোঃ রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে ভুমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে আবেদন করেন । উক্ত আবেদন করার পরিপ্রেক্ষিতে জামালপুর জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার কতৃক তদন্ত করার নোটিশ প্রদান করেন।এবং ১৫ /০৫/২০২৩ তারিখে তদন্ত হয়েছে । পরবর্তী প্রতিবেদন অদৃশ্য শক্তির যোগসাজশে চূড়ান্ত ফলাফল আই.সি.ইউ তে অবস্থান করছে। স্হানীয় মহল বলছেন , সার্ভেয়ার রুহুল আমিন বিশেষ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জেলার সেটেলমেন্ট অফিসের বিশেষ বিশেষ টেবিলগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করছেন।
অভিযোগে জানা যায় – আবুল হাকিম জনৈক সার্ভেয়ার মোঃ রুহুল আমিনকে জমি রেকর্ড করার জন্য ৩০ হাজার টাকা প্রদান করেন। উক্ত সার্ভেয়ার রুহুল আমিন তার নামে রেকর্ড না করে দিয়ে টাকা ফেরত দেয়। পরে সার্ভেয়ার রুহুল আমিন জানতে পারে বিপক্ষের লোক তাঁর আত্মীয়। সার্ভেয়ার তার অফিসিয়াল প্রভাব খাটিয়ে আত্মীয়ের নামে ভূমি রেকর্ড নথিভুক্ত করেন।
জামালপুর জেলা প্রশাসনের নীরব ভূমিকা জনমনে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। সার্ভেয়ার রহুল আমিনের বিরুদ্ধে প্রশাসন তদন্ত পূর্বক কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না তা স্হানীয় জনগণের বোধগম্য নয়।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান খন্দকার আসিফুর রহমান,মহাসচিব সুমন সরদার ও যুগ্ম মহাসচিব এস এম ফিরোজ আহাম্মদ সহ কেন্দ্রীয় সকল নেতৃবৃন্দ নিন্দা জানিয়েছেন এবং বিষয়টি জেলা প্রশাসন জনস্বার্থে বিবেচনা করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন ।