পত্নীতলায় ভূয়া সনদে চাকরি করা সেই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু - দৈনিক অভিযোগ বার্তা
admin
৫ অক্টোবর ২০২৪, ৭:৫২ অপরাহ্ন
অনলাইন সংস্করণ

পত্নীতলায় ভূয়া সনদে চাকরি করা সেই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

মোকছেদুল ইসলাম জেলা প্রতিনিধি:

নওগাঁর পত্নীতলায় দীর্ঘ্য ২২ বছর ভূয়া সনদে চাকরি করা গগনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের আইসিটি বিষয়ের শিক্ষক মোসা: সুরাতুন জান্নাত এর বিষয়ে লিখিত অভিযোগ , বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার সংবাদ প্রকাশের পর পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: পপি খাতুন তা আমলে নিয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে তদন্তের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। তদন্ত কমিটিতে পত্নীতলা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এটিএম জিল্লুর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: সোহরাব হোসেন ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ফিরোজ আল মামুন কে রাখা হয়েছে। উক্ত তদন্ত কমিটি আগামী ৬ অক্টোবর রোববার গগনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে স্মরেজমিনে তদন্ত করবেন বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য শিক্ষক মোসা: সুরাতুন জান্নাত ২০০১ সালে জাতীয় বহুভাষী সাঁটলিপি প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমী ( নট্রামস ) ধুনট থেকে পাশ করা একটি নিবন্ধন সনদ দিয়ে নিয়োগ নিয়েছেন। অনলাইনে সেই সনদের রোল নাম্বার দিয়ে সার্চ দিলে কোন তথ্য আসেনা। পরবর্তী তে সেই সনদে লিখা বগুড়া ধুনট শাখায় যোগাযোগ করলে এই শাখার কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া না যাওয়ায় প্রতিবেদক স্মরেজমিনে ধুনট বাজারে গিয়ে খোঁজাখুঁজি করার পরে তৎকালীন দুইজন প্রশিক্ষণ সেন্টারের পরিচালকের তথ্য পায়। তথ্য অনুযায়ী তন্দ্রা প্রশিক্ষণ একাডেমী এর পরিচালক তপন কুমার দাস এর সাথে দেখা করলে তিনি জানান, আমি ২০০০ সাল থেকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সেন্টার চালু করেছি কখনো ধুনটে এই প্রশিক্ষণ একাডেমির নাম শুনিনি। অপর একজন প্রশিক্ষক মো: ইউনুস আলী এর কাছ থেকে বিস্তারিত জানতে ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ি বাজারে গেলে তার কোন তথ্য না পাওয়ায় প্রতিবেদক তার গ্রামের বাড়ি মানিকপটল গ্রামে গিয়ে তার সাথে সাক্ষাতে কথা বলে। এসময় প্রশিক্ষণ সেন্টারের পরিচালক মো: ইউনুস আলী জানান,আমি প্রশিক্ষণ সেন্টার চালু করি ১৯৯৭-১৯৯৮ সালে। এই এলাকায় আমিই প্রথম। আমরা যে সনদ দিয়েছি সেখানে জাতীয় বহুভাষী সাঁটলিপি প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমী ( নট্রামস ) লেখার পাশাপাশি আমাদের প্রশিক্ষণ সেন্টারের নাম এবং পুরো ঠিকানা লিখে দিয়েছি। তবে ধুনটে আমার জানা মতে আমরা দুইজন ছাড়া কেউ ছিলোনা। তবে আমি শুনেছি অন্ধকার ঘরে সেই সময় বিনা প্রশিক্ষণে কিছু জাল সনদ মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা হতো। হতে পারে সেই জাল সনদের মধ্যে এটি একটি।

নিয়োগের সময় দেওয়া সনদের রোল নাম্বার ৫০, রেজিস্টেশন নাম্বার ৫৫, ব্যাচ নাম্বার ৩০, শিক্ষা ব্যাচের সাল ১ লা জানুয়ারী ২০০১ থেকে ৩০ জুন ২০০১ পর্যন্ত। এমপিওতে তার ইনডেক্স নাম্বার ৫৬৭১৭৮।

 

Facebook Comments Box

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মানিকগঞ্জে স্কুলের বাসে দুর্বৃত্তদের আগুন চালক দগ্ধ

দুই তারকার দীপ্তি: বিদ্যা সিনহা মিম ও আচল

জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে-প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জুলাই সনদ ‘লঙ্ঘিত’ হয়েছে: সালাহউদ্দিন

সাবেক কাউন্সিলর জেসমিন চৌধুরী আটক

ঘাটাইলে স:প্রাবিতে প্লে গ্রাউন্ড উদ্বোধন

রাজধানী থেকে সীমিত পরিসরে ছাড়ছে দূরপাল্লার বাস

টিএসসিতে পরপর জোড়া ককটেল বিস্ফোরণ আহত-১

মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের ফলপট্রিতে ককটেল বিস্ফোরণ

বালিয়াডাঙ্গীতে ক্রপ প্রোটেকশন অফিসার্স এসোসিয়েশন এর কমিটি গঠন

১০

ভালুকা থানার অফিসার ইনচার্জের রুমে যানজট নিরসনে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন

১১

জামালপুরের মাদারগঞ্জে সমবায় সমিতির প্রতারণায় ক্ষুব্ধ গ্রাহকদের অবস্থান, উপজেলা পরিষদে অফিস বন্ধ!

১২

কোটচাঁদপুরে মেডিসিন কর্ণার মালিককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা

১৩

দৈনিক অভিযোগ বার্তা পএিকার ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে স্টার অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড মনোনীত হলেন পাবনার কৃতি সন্তান মোঃ সিয়াম সিকদার

১৪

নওগাঁ সীমান্তে দুই চোরাকারবারী আটক, ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ জব্দ

১৫

রাতের আঁধারে গ্রামীণ ব্যাংকের অফিসে পেট্রোল দিয়ে আগুন

১৬

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ স্থাপনায় তালা দিলো নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ

১৭

হারিয়ে যাওয়া দুই তারকা শাবনাজ ও লিমা

১৮

বিজিবি মোতায়েন ঢাকা ও আশেপাশের জেলায়

১৯

সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় চাঞ্চল্যকর ছাগল চুরির ঘটনা, সাংবাদিকের সিএনজি ব্যবহৃত!

২০

Design & Developed by BD IT HOST