প্রতিনিধি ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ , ৯:১২:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ
অভিযোগ বার্তা ডেস্কঃ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে ইন্টারনেটসহ ৬৭ পণ্য ও সেবার ভ্যাট-সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে গত বৃহস্পতিবার অধ্যাদেশ জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। একই অধ্যাদেশে টার্নওভারের তালিকাভুক্তি ও ভ্যাট নিবন্ধনের সীমা কমানো হয়েছে। এতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকেও ভ্যাটের বিধি-বিধান পরিপালন করতে হবে, যা ব্যবসার পরিচালন খরচ বাড়াতে পারে।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, বছরে ৩০ লাখ টাকার বেশি টার্নওভার থাকলে ভ্যাটের খাতায় (টার্নওভার করের তালিকাভুক্তি) নাম লেখাতে হবে, যা আগে ছিল ৫০ লাখ টাকা।অর্থাৎ ২০ লাখ টাকা কমানো হয়েছে। এতে ছোট ব্যবসায়ীরাও ভ্যাটের আওতায় চলে আসবেন।একই সঙ্গে ভ্যাট নিবন্ধনের সীমা তিন কোটি থেকে কমিয়ে ৫০ লাখ টাকা করা হয়েছে। ভ্যাট আদায় বাড়াতে জীবন রক্ষাকারী ওষুধেও হাত দিয়েছে এনবিআর।
সরবরাহ পর্যায়ে ওষুধের ভ্যাট ২.৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছে। এতে ওষুধের দাম বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওষুধ ছাড়াও এ তালিকায় রয়েছে এলপি গ্যাস, মিষ্টি, বিস্কুট, আচার, টমেটো সস, ফলের রস, সিগারেট, সাবান ও ডিটারজেন্ট, মোবাইল সেবা ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। তরুণদের কাছে জনপ্রিয় ইলেকট্রোলাইট ড্রিংকসের ওপর সম্পূরক শুল্ক বসানো হয়েছে।
বরাবরের মতো এবারও সিগারেটের ওপর ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এ কারণে এরই মধ্যে বাজারে সব ধরনের সিগারেটের দাম বেড়েছে। মোবাইল ফোনে কথা বলা ও ইন্টারনেট সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে।
Design & Developed by BD IT HOST