সানজিদ মাহমুদ সুজন,স্টাফ রিপোর্টার,শরীয়তপুর:
আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলাস্ত পশু হাসপাতাল মাঠে, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত ‘প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী-২০২৩’ মেলা। জাজিরা উপজেলার ইউ,এন,ও কামরুল হাসান সোহেলের সভাপতিত্বে, অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন,উপজেলা প্রানিসম্পদ অফিস্যার আতিকুর রহমান মিয়া।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মোবারক আলী শিকদার,মহিলা ভাইচ চেয়ারম্যান পারভিন হক শিকদার,উপজেলা কমিশনার ভুমি লাইলাতুল হোসেন, উপজেলা আওয়ামিলিগ সভাপতি নুরুল হক,সাদারন সম্পাদক আবু তালেব চৌকিদার সহ আরো গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতাভুক্ত জেলার ও উপজেলায় এ প্রদর্শনী দিনব্যাপী একযোগে অনুষ্ঠিত হয়। জাজিরা উপজেলায় অনুষ্ঠিত প্রদর্শনীতে ভিন্ন ভিন্ন ভ্যালু চেইনভিত্তিক ২৮টি স্টল স্থাপন করা হয়। এসব স্টলে উন্নত জাতের এবং অধিক উৎপাদনশীল গবাদিপশুসহ বিভিন্ন প্রাণী তথা গাভী, বাছুর, ছাগল, ভেড়া, মুরগী, হাঁস,কবুতর,টিয়া ইত্যাদি প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও প্রদর্শনীতে প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রযুক্তি, ঔষধ সামগ্রী, টিকা, প্রাণিজাত পণ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ সরঞ্জাম, মোড়কসহ পণ্য বাজারজাতকরণ প্রযুক্তির স্টলও স্থাপন করা হয়। স্টল পরিদর্শন শেষে,
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি মোবারক আলি শিকদার বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার কারণে মাংস উৎপাদনে এখন আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। মাংস আমরা বিদেশে রপ্তানি করতে যাচ্ছি। এখন ভারত-মিয়ানমার থেকে কোরবানির পশু আমদানি করতে হয় না। বেকাররা এখন খামার করে গর্বের সাথে বলেন আমরা খামারি”।
তিনি আরো বলেন, “দেশব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী করায় মানুষের মধ্যে প্রাণিসম্পদ খাত নিয়ে উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে প্রাণিসম্পদ খাতবান্ধব সরকার প্রধান শেখ হাসিনার কারণে”।
সভাপতির বক্তব্যে ইউ,এন,ও কামরুল হাসান সোহেল বলেন,
“একটা সময় মানুষ সপ্তাহে একবার মাংস খেতে পারত না। এখন কোন কোন পরিবার দিনে তিন বেলা মাংস খায়। দেশের প্রাণিসম্পদ খাতের এ বৈপ্লবিক পরিবর্তন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তন। এ পরিবর্তনের সূচনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে। দেশ স্বাধীন হবার পর তিনি সর্বপ্রথম বিদেশ থেকে উন্নত জাতের গবাদিপশু দেশে নিয়ে এসেছেন। গবাদি পশুতে কৃত্রিম প্রজনন প্রবর্তন করেছেন”।
অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিদের মধ্যে পুরুস্কার বিতরনের মাধ্যমে সমাপ্তি টানা হয়।