আগামিকাল ২৯ ডিসেম্বার ৭ন ধাপে হতে যাচ্ছে শরীয়তপুরের জাজিরার মুলনা ইউনিয়নের নির্বাচন।তারি ধারাবাহিকতায় গত রাতেই শেষ হয়েছে সকল প্রচারপ্রচারনা।কিন্তু তারপরো প্রার্থির লোকেরা যাচ্ছে ভোটারদের বাড়িতে, দিচ্ছে ছেলে মেয়েদের সালামি, চাউল,ডাল কিনার টাকা।
মূলনার পথ ঘাট,বাজার ঘুরে যে মানসিকতা বা প্রার্থিদের প্রতি ধারনা ফুটে উঠেছে, তা প্রকাশ করা হলো
জনগনের মতে সকল প্রার্থি হতে টাকা ও আত্মীয়তার দিক থেকে ভোটার বেশি শেলিম শিকদারের।তিনি অত্র এলাকার পুরান চেয়ারম্যান ছিলেন,কিন্তু গতবার রাজনৈতিক কৌশলে হেরে গিয়ে নৌকা প্রতিক পেয়েও হেরে যান।কিন্তু এবার আটঘাট করে নেমেছেন তার পরিবার ও আত্মীয়রা।প্রতিবেশিদের কথায় জানা যায় টাকায় যদি ভোট হয় তাহলে কেউ শিকদার পরিবারের কাছেও নেই,আজো মাঠে প্রায় নয়টি ভাগে বিভক্ত হয়ে তার লোক আছে।বিপুল ভোটে সেবিজয়ী হবে।
জলিল মাদবর এর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তার লোকজন এজেন্ট সাজানো নিয়ে ব্যাস্ত।তার প্রতিবেশি লোকের বক্তব্য তিনি ইট ভাটার ব্যাবসা করতেন।শিক্ষিত অশিক্ষিত, মোট কথায় মানুষের সঠিক মুল্যায়ন তিনি বোঝেন না।তার কাছে দলিয় মানুষ ও মাঠকর্মিদের মুল্যায়ন আছে।গ্রাম্য রাজনিতিতীতে তার লোক ও পেশিশক্তি বেশি।যে কারনে তার ভোটার ও জনগন বেশি। তিনি শতভোট ব্যাবধানে বিজয়ী হবেন বলে আশা করেন।
নুরুল আমিন হাওলাদার এর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় কিছু লোক এজেন্ট এর নাম লিখছে,কিছু লোক খাচ্ছে, বিসয়টি কিছুটা অনুসঠান আয়োজনের।তার প্রতিবেশি ও গ্রামের লোকের ভাস্য কিছুটা মিশ্র।বর্তমানে তিনি চেয়ারম্যান, এলাকায় তার জনপ্রিয়তা ব্যাপক, ব্যাক্তি হিসাবে তিনি সবার থেকে সর্ব দিকদিয়ে যোগ্য,তবে তিনি এবার জনগন ধরে রাখার চেস্টা করছেন।বিজয়ী হয়ে ঘরে ফিরতে পারেন বলে আশা করা যায়।
এরপর সোহেল সরদার এর বাড়িতে গিয়ে, একি রকম চিত্র দেখা যায়।বাজার ও প্রতিবেশিদের মতানুযায়ী, তিনি আরো দূবার নির্বাচনে প্রার্থি হয়েছে,খুবি ভদ্র,ন্যায়পরায়ন ও আত্মসচেতন মানুষ। তারপর তার বাবা লাউখোলা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসাবে কাজ করেছেন।ঐতিহ্যবাহি সরদার পরিবারের সন্তান তিনি।তার প্রতি সাধারন মানুষের মনের টান বেশি।জনগন যদি তাদের মনুষ্যত্ব রাখে তাহলে সে বিজয়ী হবে বলে আশা করেন।
লোকমান ফকিরের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় পুরানো চিত্র,এলাকায় যুব সমাজ তাকে খুবি পছন্দ করেন।তার প্রতি নাকি নেতাদের আশির্বাদ আছে।সব মিলিয়ে তিনিও নাকি জয়যুক্ত হবেন।
তবে নির্বাচন নিয়ে প্রতিটি এলাকায় বিরাজ করছে ইদআমেজ। ভাগ্য নির্ধারন হবে জনগনের ভোটে আগামীকাল।
উপজেলা ইউ,এন,ও কামরুল হাসান সোহেল বলেন, নির্বাচনে সহিংসতা এরাতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন।কোন অবস্থাতেই কোন প্রকার সহিংসতা যাতে না ঘটে।নির্বাচনে ভোট দিতে বাধা দেওয়ার কোন উপায় যাতে কেউ না পায় সে লক্ষে,বি,জি,বি ও অতিরিক্ত আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী মোতায়ন করা আছে।তিনি অতীতের মতো আরো একটি সুন্দর সুসঠ নির্বাচন উপহার দিতে চান জাজিরা তথা মুলনাবাসিকে।