এক মুখে দূই কথা ,কথাটা বড়ই বেমানান শুনালেও সত্যি।

প্রকাশ: ৭ মাস আগে

নিউজ ডেক্সঃ

গত ১৭/১০/২০২৩ ইং তারিখে ডাবলিন ডায়েরির ফেইসবুক লাইভে জনাব সবুজের উপস্থাপনায় বেড়িয়ে আসলো থলের বেড়াল। এই জন্য আমি জনাব উপস্থাপক সবুজ সাহেবকে জানাই ধন্যবাদ। যদিও আবাই নিয়ে কোনো কথা বলতে চাইনি তবে আবাইর কার্যকর কমিটির কর্মকাণ্ড নিয়ে অনেক কিছু বলার আছে। যা বলে শেষ করা যাবে না। কারন এই কমিটি টা হচ্ছে একটি মেরুদণ্ডহীন।যেখানে বাঙ্গালী কমিউনিটিকে আলো ছড়াবে সেখানেই বাঙালীদেরকে এক লজ্জানক জায়গায় ফেলে দিয়েছে। ১৭/১০/২০২৩ ইং তারিখে ডাবলিন ডায়েরির লাইভে চার বিশেষজ্ঞদের নিয়েও অনেক কথার জন্মদিয়েছে বলে আমি মনে করি।এখানে আমি বলবো জনাব উপস্থাপক সাহেবের আর একটু সচেতন হওয়া উচিৎ ছিল। চার বিশেষজ্ঞদের কথাগুলো শুনে বাধ্য হলাম দূ চার শব্দ লেখতে। এক বিশেষজ্ঞ সাহেব বললো আবাই কারো ব্যাক্তিগত সংগঠন না আবাই হচ্ছে সবার সংগঠন। এখানেই আমার প্রশ্ন? তা হলে আবাই মিনিংসটা কি?এটা বলার উদ্দেশ্য কি। আবাই নির্বাচনে তাদের কি ভূমিকা ছিল।তখন আবাইর নির্বাচন কমিশন ও উপদেষ্টা মন্ডলির মধ্যে দুইচার জন ছারা আবাই নির্বাচনের আচরণ বিধি লঙ্গন কাজ ও কর্ম কান্ড আমদের সবারই জানা এবং সবই দেখেছি। আবাই নির্বাচনের সময় দেখেছি আবাইর পরিবেশ এবং নির্বাচনের পরের ইতিহাস সবারই জানা। আবাইর পরিবেশ কি ছিল আবাই কি সবার সংগঠন নাকি কারো ব্যাক্তিগত সংগঠন।আমরা এটাও দেখেছি কারা কারা আবাইকে বিলুপ্ত করে বাইকে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়েছিলো এবং আবাইর কার্যক্রমকে অকার্যকর করার জন্য ক্ষমতার অপব্যবহার করেছিলো।ডাবলিনে যারা তথাকথিত বি সি ডি সংগঠনের জন্ম দিতে পারে তাদের মুখে এ সমস্ত ডায়লগ বাজি কতটা মানায় এই প্রশ্ন রেখে গেলাম ! ডাবলিন কমিউনিটিকে দুভাগ করতে যাদের উস্কানি ছিলো এবং যারা আবাইর ঘোর বিরোধী ছিলো তারাই আবার আবাইর উপদেষ্টা পদে রয়েছেন,ছি: এটা লজ্জাজনক। তথাকথিত বিসিডির পোগ্রামে বর্তমান আবাইর সভাপতিকে যাদের ইন্ধনে অপমানিত করা হয়েছিল তারাই একজন আবার আবাই’র উপদেষ্টা পদে হা হা হা , কি তামাসা। এবার আসি আবাই’র উপদেষ্টা কমিটি নিয়ে,পৃথিবীর কোনো ইতিহাসে কোন জায়গায় দেখি নাই ২৭ জনের কার্যকরি কমিটি। বোঝা যাচ্ছে এই কমিটির দুইজন শুধু মহাঙ্গানী আর বাকি ২৫ জন সদস্য মহাঙ্গানী না।তাই বলে উপদেষ্টা কমিটিতে আরোও ২৫ জন বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করা হলো,এটা কি বৈষম্য না ? বা এটা কি বড় গৌরবের বিষয় হলো,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,? তাহলে আর নির্বাচন করার কি দরকার ছিল। এভাবে সব বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটা কমিটি করলেই তো হতো। এই জন্য বলি ধীরে বন্ধু ধীরে আগে বুঝতে হবে সংগঠন কি? সংগঠনের মানে কি? কেন সংগঠন করি।? আমরা যারা প্রবাসে বাংলাদেশী কমিউনিটির সাংগঠন করি তাদের সবার আগে বোঝা এবং জানা উচিৎ সংগঠন মানে কি এবং কেন করি ? সংগঠন করার আগে নিজেকে একজন দক্ষ সংগঠক হিসাবে তৈরী করা উচিৎ বলে আমি মনে করি। আজ কাল অনেককেই দেখি যাদের সংগঠনের ব্যাপারে নুন্যতম ধারনা নেই কিন্ত মুখে তাদের বড় বড় বুলি। যেমন মশা মারতে কামান দাগান। তারা নিজেরাও কিছু জানেনা কিন্ত ভাবটা এমন মনে হয় তারা মহাজ্ঞানী। আমি জানি না সংগঠনের জন্য সংগঠক হিসাবে আমরা নিজেকে কতটা তৈরি করতে পেরেছি ?? ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে অতীতে কমিউনিটিতে অনেক ঠকবাজি ও মানুষের সাথে প্রতারণা করেছেন আবার সেইসব লোকেরাই কমিউনিটির হর্তাকর্তা বা উপদেষ্টা সেজে বসে আছেন। ছি: লজ্জাকর ব্যাপার,দোষ আপনাদের যারা ওনাদেরকে এই জায়গায় স্থান করে দিচ্ছেন। এতে বুজলে বুজ পাতা না বুজলে তেজ পাতা। এবার আসি উপস্থাপক সাহেব প্রশ্ন করেছে আবাই কোন পথে। ফেইসবুক লাইভে চার বিশেষজ্ঞ বলেছেন আবাই সঠিক পথে আছেন।তবে আমার মতে অতীতের চেয়ে এবার আবাই অন্ধকারের পথে হাটছে। এটার ব্যাখ্যা আগামী পর্বে দিবো অপেক্ষা করুন। এটা আমার ব্যাক্তিগত মতামত। আমার এই লেখা কাউকে কস্ট দেয়া বা হেয় করার জন্য নয়। সবাই ভালো থাকবেন।

লেখক পরিচিতিঃ ইকবাল আহামেদ লিটন।

সাবেক ছাএ লীগ নেতা সদস্য সচিব, আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগ ও প্রধান উপদেষ্টা, দৈনিক অভিযোগ বার্তা।
  • এক মুখে দূই কথা
  • কথাটা বড়ই বেমানান শুনালেও সত্যি।