ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেন মাদকের নতুন রুট, সংসদীয় কমিটিতে প্রতিবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ: ৩ সপ্তাহ আগে

চট্টগ্রাম রুটে মাদক পাচারকে বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। ঢাকা–চট্টগ্রাম রুটে মাদক পাচারকে বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।মাদক পাচারের নতুন মাধ্যম হয়ে উঠেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ট্রেন পরিষেবা। এই নতুন প্রবণতা মোকাবিলা করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেছে সংসদীয় কমিটি।

গতকাল রোববার জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে অধিদপ্তরের সার্বিক কার্যক্রমের ওপর প্রতিবেদন উপস্থাপন করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
জানা গেছে, বৈঠকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সার্বিক কার্যক্রমের ওপর প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী। সেখানে অধিদপ্তরের চ্যালেঞ্জ হিসেবে বলা হয়, ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ট্রেন সার্ভিস মাদক পাচারের ক্ষেত্রে নতুন মাধ্যম; সব স্থল ও সমুদ্রবন্দরে স্থায়ী অফিস না থাকা; বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ ও স্ক্যানিং এলাকায় সীমিত প্রবেশাধিকার ও সোর্সের বিপরীতে বাজেটের স্বল্পতা।
এদিকে বৈঠকে, বাংলাদেশ-মিয়ানমারের সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে সংসদীয় কমিটিতে প্রতিবেদন দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। সেখানে বলা হয় আগামী মাসে টেকনাফ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারে যুদ্ধ পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর ফলে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং বিজিপি সদস্যদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা বৃদ্ধি পেতে পারে।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের যেসব ঝুঁকি রয়েছে তা উল্লেখ করা হয়। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মিয়ানমারের নাগরিকদের (রোহিঙ্গা/মগ) অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রণ; বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের অরক্ষিত স্থল ও জল সীমান্তে নিরাপত্তা; রোহিঙ্গাদের রেশনের অবৈধ পাচার রোধ; মাদকের বিনিময়ে রেশন সরবরাহের ফলে মাদক ও চোরাচালানকৃত পণ্যের সরবরাহ বৃদ্ধি পেতে পারে; সীমান্তে যুদ্ধাবস্থায় আগ্নেয়াস্ত্র সহজলভ্য হওয়ায় সন্ত্রাসী দল/গোষ্ঠী আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্যবহার করতে পারে স্থানীয় আদিবাসী ও মগ সম্প্রদায়ের সঙ্গে আরাকান আর্মির সখ্য থাকায় আরাকান আর্মি বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।
বৈঠকে কিশোর গ্যাং কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা করেন সংসদ সদস্যরা। বৈঠকে কিশোর গ্যাং নির্মূলে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান এমপিরা।বৈঠকের কার্যবিবরণী সূত্রে জানা গেছে, কমিটির আগের বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব অগ্নিকাণ্ডের পর দায়ীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা হয় না বলে উল্লেখ করেন। বৈঠকে কমিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সকল বাহিনীকে আরও সচেতন ও সতর্ক থেকে কাজ করার সুপারিশ করে।