সমপদে জেনারেল স্কুল, কলেজ এ বদলি প্রত্যাশী একজন শিক্ষিকার আর্তনাদ!

News Editor
প্রকাশ: ৩ মাস আগে

বরগুনা প্রতিনিধি:- মোঃ সারোয়ার

মোসাঃ শামিমা আক্তার সহকারী শিক্ষক বাংলা। জন্মস্থান বগুড়া জেলা। বেকারত্ব ঘোচাতে তৃতীয় গনবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করে এন টি আর সি এর সুপারিশ পেয়ে যোগদান করেন রামপুর ডি এস ফাজিল মাদ্রাসা ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর। বদলির অপেক্ষা করতে করতে দুটি বছর অতিবাহিত হলেও বদলির কোন ব্যবস্থা হলো না। তিনি তার একমাত্র কন্যা সন্তানকে সাথে নিয়ে চাকরি করছেন। স্বামী থাকে নিজ বাড়িতে। সামাজিক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তার স্বামী তাকে বার বার চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কথা বললেও তিনি চাকরি ছেড়ে দেননি বদলির আশায়। গত সপ্তাহে তার বাবা তার কাছে বেড়াতে আসেন।১৪/২/২০২৪ তারিখের বদলি কর্মশালা বদলি সম্পর্কিত খবর যখন বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে মাদ্রাসা শিক্ষকদের বদলির ব্যবস্থা রাখা হয়নি এমপিও নীতিমালায় উল্লেখ আছে সমপদ সমস্কেলে স্কুলে থেকে মাদ্রাসা এবং মাদ্রাসা থেকে স্কুলে যাওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও কিন্তু বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয় এক অধিদপ্তর থেকে অন্য অধিদপ্তরে যাওয়া যাবে না । বদলি হবে মাদ্রাসা টু মাদ্রাসা। বদলি হবে স্কুল-কলেজ এর বদলি কার্যক্রম পরিচালনা করবে মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরএবং অধিদপ্তর পরিবর্তন করতে পারবে না । অথচ মাদ্রাসা এবং স্কুলের নিয়োগদাতা সংস্থা একটি সেটি হলো এনটিআরসিএ। তিনি বলছেন যেহেতু সফটওয়্যার একটি ইএমআইএস এবং মেমিস এর সংযোগ ব্যবস্থা করলে সমপদ সম স্কেলে পদ শুন্য থাকা সাপেক্ষে এক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে যেতে সমস্যা হবে না। কিন্তু যখনই শুনেন যে মাদ্রাসা শিক্ষকদের বদলি নাই।এমন কথা শুনে তিনি অতিরিক্ত মানসিক চাপে ব্রেন স্ট্রোক করেন। হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কিছুটা সুস্থ হলেও বর্তমানে তার শরীরের এক পার্শ্ব অবোস হয়ে গেছে এবং তিনি কথা বলতে পারছেন না।জানি না আরও কতো কষ্ট করতে হবে বদলি প্রত্যাশী শিক্ষকদের।কর্তৃপক্ষের নিকটে আকুল আবেদন দ্রুত মাদ্রাসা শিক্ষকদের বৈষম্যহীন বদলির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
লেখকঃ মোঃ সাকিবুল ইসলাম সহকারী শিক্ষক সামাজিক বিজ্ঞান ফরিদগঞ্জ চাঁদপুর।