সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করলেন বিটিসিএলের কোটচাঁদপুর অফিস কর্মকর্তা।

জেলা প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ
প্রকাশ: ৪ সপ্তাহ আগে

সরকারি গাছ অনুমতি বা নিয়ম না মনে কেটে বিক্রি ও কম্পাউন্ডের জমি লিজ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মশিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে। তিনি বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)কোটচাঁদপুর অফিসের কর্মকর্তা। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন,(বিটিসিএল) ঝিনাইদহের প্রকৌশলী আবু জাহিদ।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়,বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)কোটচাঁদপুর অফিসে গত বেশ কয়েক বছর ধরে কর্মরত রয়েছেন,মশিয়ার রহমান। তিনি ওই অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তিনি এই কর্মস্থলে যোগদানের পর ওই কম্পাউন্ডের ভিতর থেকে এর আগে কাঠাল,সেগুন সহ বেশ কয়েকটি গাছ কেটে বিক্রি করে দেন। কম্পাউন্ডের জমি লিজ দিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ শে এপ্রিল) বিক্রি করেছেন ৪হাজার টাকায় একটি একাশিয়া গাছ। যার আনুমানিক মুল্য ৮ হাজার টাকার ঊর্ধ্বে ।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিয়ার রহমান বলেন,বিটিসিএল এর গাছ বিক্রি করতে পারেন কর্মকর্তার। আর এ ঘটনাটি স্যার জানেন। স্যারের অনুমতি নিয়ে গাছ কেটে বিক্রি করা হয়েছে। আর টাকা স্যারকে দেয়া হয়। এর আগেও যা বিক্রি করা হয়েছে সব উর্ধতন কর্মকর্তার অনুমতি নিয়েই বিক্রি করা হয়েছে। তবে তিনি জমি লিজ দেয়া ও অন্যান্য গাছ কেটে বিক্রির কথা অস্বীকার করেছেন।
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড( বিটিসিএল) প্রকৌশলি আবু জাহিদ বলেন,গাছ কাটার সম্পর্কে আমি কিছু জানিনা। আর টাকা নেওয়ার প্রশ্নই ওঠেনা না। তিনি বলেন,আমার বাড়ি এখানেই শৈলকূপায়। ঝিনাইদহের কল্পনা এমপি আছে,ওনাকে তো আপনারা চিনেন। আমরা ওই ফ্যামিলির ছেলে। আপনি মানুষের কাছে জিজ্ঞেস করে দেখবেন আমরা কি ধরনের।
আবু জাহিদ আরো বলেন,মশিয়ার রহমান সাহেব এটা কোন রকম করতে পারেন না। ওনি এটা করে চাকুরীর বিধি লংঘন করেছেন। আমি ঘটনা নিয়ে স্যারের সঙ্গে কথা বলবো। যেহেতু ভিডিও আছে আর তদন্তের দরকার নেই। তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়
উপজেলা নির্বাহী অফিসার উছেন মে বলেন,ঘটনাটি আমার জানা নাই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।