সানজিদ মাহমুদ সুজন :নিজস্ব প্রতিবেদক শরীয়তপুর :বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ স্বাধীনতাকামি, অধিকার আদায়ের, গণমানুষের একমাত্র, বাংলাদেশের গনতান্ত্রীয় রাজনৈতীক দল হিসাবে চিহ্নিত, নৌকা প্রতিক সম্বলিত , রাজনৈতিক চর্চার মূলধারার সংগঠন বলে মনে করেন সকলেই। প্রতি ৩ বছর অন্তর দলিয় জাতীয় কমিটি ঘোষণা করে থাকে দলটি।এর ধারাবাহিকতায় প্রতিটি জেলা, উপজেলা এমনকি তৃনমুল পর্যায়ে কমিটির মাধ্যমে রাজনৈতিক চর্চাকে আরো সূদৃড় ও সংগঠিত করে দলটি। সম্প্রতি শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় মাস্টার জি,এম নুরুল হককে সভাপতি ও আবু তালেব চৌকিদারকে সাধারন সম্পাদক করে কোষদক্ষ পর্যন্ত ৩৬ জন ও সম্মানিত সদস্য ৩৫ জন মোট ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্নাংগ কমিটি প্রকাশ করা হয়।আর এটা নিয়েই শুরু হয় ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ জনআলোচনায় গুঞ্জন।
সাধারণ জনগন ও প্রবিন নেতাদের মতে, কমিটির মধ্যে ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কর্মিরা অনুপ্রবেশ করেছে,প্রবেশ করেছে স্থানীয় অরাজনৈতিক, ব্যাবসায়ি ব্যাক্তিরা।এ ছারাও ২০১৬ সনের সরকারি চাকুরীরত ব্যাক্তিদের নাম এখানে পরিলক্ষিত হচ্ছে,যা দলীয় কাঠামোগত নিতী বহিঃর্ভূত, যে কারনে সঠিক রাজনৈতিক চর্চা হওয়ার কোন সম্ভাবনা দেখছেন না তারা।তবে কিছু নতুন নতুন আওয়ামী অংগোসংগঠন হতে আসা পরিচিত তুখোর, যুবকরা স্থান করে নিয়েছে এ কমিটিতে, যাদের কাছ থেকে রাজনৈতিক পদের সঠিক কৌশলি ব্যাবহার করতে বা শিখাতে পারবে দলটি।তারপরেও ২০১৬ সালের কমিটি অধিবেশনে দেওয়া ৩ বছর মেয়াদি কমিটির, পূর্নাংগ রুপ দিতে অতিরিক্ত আরো ৪বছর অতিবাহিত হওয়ায়, মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি হিসাবেই নজরে এসেছে সবার কাছে।
এ বিষয়ে জাজিরা উপজেলা আওয়ামিলীগের ৩ বারের মনোনীত, সর্বজন স্বীকৃত সভাপতি মাস্টার জি,এম নুরুল হক সাংবাদিককে দেওয়া স্বাক্ষাতকারে বলেন” ২০১৬ সালে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক মনোনীত করে অন্যান্য সদস্যদের,যোগ্যতাকে পরীক্ষামূলক ভাবে দেখতে একটু সময় নেওয়া হয়,মূলত সঠিকভাবে কারা রাজনৈতিক চর্চা করে তাও দেখার বিষয়।দলিয় সাংসদ, স্থানীয় পুরানো রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের রাজনৈতিক চর্চার কারনে অনেক সময় কমিটির যোগ্য ব্যক্তি নির্ধারনে সময় লাগে,তবে যেহেতু ভৌগোলিক কারন ও বিশ্বঅস্থিতীশিল পরবেশ বর্তমানে বিরাজ করছে তাই কমিটির পূর্নাংগতা প্রকাশ করতে সময় লেগেছে।তিনি মনে করেন এবারের কমিটিতে প্রত্যেকটি পদে যোগ্য ব্যাক্তিদের স্থান দেওয়া হয়েছে।
নবনির্বাচিত সহ- সভাপতি, সদাহাস্যোজ্বল ব্যাক্তিত্ত সম্পন্ন মোসলেম উদ্দিন মাদবর বলেন নব্বই দশক থেকে রাজনৈতিক ভাবে আওয়ামিলীগ এর জন্য মাঠে কাজ করছি ও রাজনৈতিক চর্চা করছি।দল আমাকে এতোদিন পরে উপজেলা সহ সভাপতি হওয়ার যোগ্য মনে করেছে বিধায় আমি এ পদ পেয়েছি।এতে আমি আনন্দিত, সেই সাথে আমার এ কমিটি দেরিতে হলেও জাতির বির সন্তান মুক্তিযোদ্ধা,ও সিনিয়র এর সাথে অংগ সংগঠন গুলো হতে তরুন যোগ্য নেতাদের মুল দলে আসার সুযোগ করে দিয়ে আওয়ামিলীগ রাজনৈতিক চর্চার মাঠকে সূদৃড় করেছে।আমি ব্যাক্তিগত ভাবে নিতীনির্ধারক ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞ্যাপন করছি এমন একটি সুন্দর কমিটি প্রকাশে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য।
নবনির্বাচিত যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সাইয়ুম আলম( বাবুল আকন) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণতার কথা স্বিকার করে বলেন, এই কমিটি যে কোন সময় ভেংগে আবার নতুন করে কমিটি প্রকাশ করা হতে পারে।দেরিতে হলেও তার কমিটির প্রতিটা পদে যোগ্যব্যাক্তিদের সম্মান দেওয়া হয়েছে,সাংসদিয় রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে এই কমিটির পদবন্টন হয়েছে,যা এ উপজেলার প্রতিটা মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্যতা পেয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
এছারা নব্বইয়ের অন্যতম ছাত্রনেতা, যুবনেতা ও বর্তমান শ্রমিকলীগের সভাপতি শেলিম মাদবর বলেন “এবারের কমিটি আওয়ামী জাজিরার ইতিহাসে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ও সর্বজন গ্রহিত ও ব্যাক্তি প্রভাব মুক্ত কমিটি উপহার দেওয়া হয়েছে।সামান্য কিছু ত্রুটি থাকলেও পরবর্তীতে এটা কাটিয়ে উঠবে দলটি।তিনি তার কমিটির নেতা রফিকুল ইসলাম আক্কাস মুন্সিকে আওয়ামী যুগ্ন সাধারন সম্পাদক করায় বেশ আনন্দিত।সেই সাথে যুবলীগ হতে কিছু নতুন যোগ্যমুখ আনায় বেশ উৎফুল্ল ও আশাবাদী। ২০১৬ স্বাক্ষর সম্পর্কে তিনি বলেন এটা রাজনৈতিক ভাবে অস্থীশিলতা বিশ্ব্যব্যাপি বিরাজ করায় একটু কালক্ষেপন হয়েছে মাত্র।
পরিশেষে সকলের মতামতও বক্তব্যানুসারে একটা তথ্যই প্রতিয়মানিত হয়, কমিটি নিয়ে যতই আলোচনা সমালোচনা থাক, রাজনৈতিক ভাবে জাজিরাতে রাজনৈতিক সঞ্চালনার সৃষ্টি হয়েছে।যা এই দলটির নেতা কর্মিদের জাগ্রত করেছে।