আসরের নিজেদের প্রথম পাঁচ ম্যাচের সবকটাতেই জয় পেয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। এমন দুর্দান্ত শুরুর পর ষষ্ঠ ম্যাচে মাঠে নামার আগে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজ থেকে ‘মিশন হেক্সা’ লিখে স্ট্যাটাস দেয়া হয়েছিল। তবে সেই মিশনে পুরোপুরি ব্যর্থ স্ট্রাইকার্স। কুমিল্লার ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে পাত্তায় পায়নি টেবিল টপাররা। লিটন দাসের দুর্দান্ত হাফ সেঞ্চুরিতে সিলেটকে ৫ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে কুমিল্লা।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করেত নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই মাশরাফি বিন মর্তুজাকে চার মেরে শুরু করেন লিটন দাস। গত ম্যাচের মতোই এদিনও শুরু থেকেই বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে খেলেছেন এই ওপেনার। তার ব্যাটে ভর করেই পাওয়ারপ্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়েই ৪৯ রান তোলে কুমিল্লা।
১৪ রান করা মোহাম্মদ রিজওয়ান রান আউটে কাটা পড়লে ভাঙ্গে ৫৭ রানের উদ্বোধনী জুটি। এরপর ইমরুল কায়েস উইকেটে থিতু হলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৮ রান এসেছে অধিনায়কের ব্যাট থেকে। তার বিদায় অবশ্য দলের রান তাড়ায় খুব একটা প্রভাব পড়েনি।
এদিন লিটন রীতিমতো টর্নেডো বইয়ে দেন সিলেটের বোলারদের ওপর। ইনিংসের ১৪তম ওভারে তিন ছক্কা এবং এক চারে ২৪ রান তোলে কুমিল্লা। যা আসরের সচেয়ে খরুচে ওভার। সাজঘরে ফেরার আগে লিটনের ব্যাট থেকে এসেছে দলীয় সর্বোচ্চ ৪২ বলে ৭০ রান।
মিডল অর্ডারে খুশদিল শাহ এবং জাকের আলি দ্রুত সাজঘরে ফিরলেও জনসন চার্লস এবং মোসাদ্দেক হোসেনের অপরাজিত ইনিংসে এক ওভার হাতে রেখেই ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরতেই মোহাম্মদ হারিসকে হারায় সিলেট। এই পাকিস্তানি ওপেনার হাসান আলির লেন্থ বলে স্কুপ করতে গিয়ে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফিরেছেন। এর আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৬ বলে ৭ রান।
এদিন ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন দেয়া হয় আকবর আলিকে। তিন নম্বরে খেলতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি এই তরুণ ব্যাটার। ২ বল খেলে এক রান করেছেন তিনি। আরেক টপ অর্ডার ব্যাটার জাকির হাসানও দ্রুতই সাজঘিরে ফিরেছেন। এই ইনফর্ম ব্যাটার কাটা পড়েছেন ৯ রান করে।
২০ রানে ৩ উইকেট হারানো সিলেটের হাল ধরেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। এই দুইজনই উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করেত পারেননি। মুশফিক ফিরেছেন ১৬ রান করে। আর শান্ত ১৯ বল খেলে কাটা পড়েছেন আনলাকি থার্টিনে।
৫৩ রানের মধ্যেই ৭ উইকেট হারিয়ে সিলেট যখন খাদের কিনারায়, তখন ত্রাতা হয়ে আসেন থিসারা পেরেরা এবং ইমাদ ওয়াসিম। আট নম্বর উইকেটে তাদের ৮০ রানের অপরাজিত জুটিতে লড়াই করার মতো পুঁজি পায় দল। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান তোলে সিলেট।