অন্যান্য

কুষ্টিয়ায় সৈয়দ মাছ-উদ রুমী সেতু ভোগান্তি নিরসনের চেয়ে যখন জনগণের ভোগান্তি কারণ

  প্রতিনিধি ২২ মার্চ ২০২৩ , ৭:৩৬:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ

মোঃ জিয়াউর রহমান কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ

সাইকেল রিক্সা ও ভ্যানের থেকে টোল আদায় নিয়ে জনমনে অসন্তোষ । ৩৫ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত সেতু থেকে ১৮ বছরে টোল আদায় হয়েছে প্রায় শত কোটি টাকা। কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমারখালির গড়াই নদীর ওপর অবস্থিত সৈয়দ মাছ- উদ রুমী সেতু থেকে গত ১৮ বছর ধরেই চলছে টোল আদায়। ভোগান্তি নিরসনের কাঙ্খিত সেতুই এখন জনসাধারনের ভোগান্তির কারন হয়ে দাড়িয়েছে। ৪ উপজেলাসহ ২ জেলার জনসাধারনের গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে এই সেতুটি । এতে সৃষ্টি হয়েছে জনমনে অসন্তোষ। ২০০৪ সালে ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়, কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়কের কুমারখালির গড়াই নদীর উপর , সৈয়দ মাছ-উদ রুমী সেতুটি। ২০০৫ সাল থেকে এই সেতু ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে ইজারাদারের মাধ্যমে টোল আদায় করে আসছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। নির্মাণ ব্যয়ের কয়েক গুণ টাকা ইতিমধ্যে আদায় হলেও এখনও বন্ধ হয়নি টোল আদায়। এই সেতুর টোল আদায়কে কেন্দ্র করে মাঝে-মধ্যেই ইজারারদের লোকজনের সাথে জনসাধারনের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে এবং ইজারাদারের লোকজনের ব্যাবহার অনেক খারাপ। মাত্র ৫শ মিটারের এই সেতুতে দুই পাড়ের মানুষের যাতায়াতে প্রতিদিন গুনতে হয় প্রায় ১শ থেকে ২শ টাকা পর্যন্ত। ফলে ভোগান্তি নিরসনের কাঙ্খিত সেতুই এখন জনসাধারনের ভোগান্তির কারন হয়ে দাড়িয়েছে। ইজারা থেকে সৈয়দ’মাছ-উদ রুমী সেতুর ৬ বছরের আয় সড়ক বিভাগের সাল ইজারা ( টাকা ) ২০১৬-২০১৭ ৫ কোটি ২৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা ২০১৯-২০২১ ১৪ কোটি ৫০ লাখ ৪৬ হাজার টাকা ২০২১-২০২৪ ২৫ কোটি ৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা এ বিষয়ে কিছু ভুক্তভোগীরা বলেন, বাইসাইকেল থেকে ৫ টাকা নেওয়া এটা একদমই যুক্তিহীন। এদের বেশিরভাগ লোকই দিনমজুর। অনেক চালক বলেন কয়েকবার সেতু পার হওয়ার জন্য তাদের টোল দিতেই তো বেশিরভাগ টাকা চলে যায় কিন্তু পরিবার পরিজন নিয়ে এভাবে কি চলা যায়। তারা এই টোল বন্ধের জন্য সরকারের প্রতি আবেদন জানান। জনসাধারনের এ দাবীকে যৌক্তিক বলে সচেতন নাগরিকরা বলছেন, এ অঞ্চলের মানুষের সুবিধার্থে দ্রুত বন্ধ হওয়া উচিত মাছ উদ রুমী সেতুর টোল আদায়। এ বিষয়ে ডিসটিক পলিসি ফোরামের সহ-সভাপতি হাসান আলী বলেন, রাষ্ট্রের কোন অর্গান দাঁড়ায় যদি জনগণ আসলে কোন অকল্যানের মুখে পড়ে বা ভোগান্তের ভেতর পড়ে এই অযৌক্তিক করের বোঝা যদি জনগণকে বহন করতে হয় সেটা আসলে রাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়। আমার মনে হয় রাষ্ট্রের সড়ক বিভাগ এ বিষয়ে কর্ণপাত করবে। সচেতন নাগরিক কমিটির কুষ্টিয়া জেলা সভাপতি রফিকুল আলম টুকু বলেন, ছোট ছোট জান গুলোর জন্য টাকা তুলে জনগণের ভোগান্তি কারোরই কাম্য নয়। আমি আশা করবো এই টোল আদার থেকে জনগণকে মুক্তি দেবে। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খান বলেন, টোল আদায় কবে বন্ধ হবে তা নির্ভর করছে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের উপর। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেলে বন্ধ করা হবে টোল আদায়। দ্রুত বন্ধ হবে এই সেতুর টোল আদায় নিরসন হবে তাদের ভোগান্তি এমনটাই প্রত্যাশা এ অঞ্চলের জনসাধারনের।

আরও খবর

Sponsered content

Design & Developed by BD IT HOST