মোঃ জিয়াউর রহমান কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় টাকা-পয়সা নিয়ে পারিবারিক কলহের জেরে হাফিজা খাতুন নামের এক স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্বামী আল্লেক আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার (১৯ মার্চ) দুপুরের দিকে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।
একই সাথে তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আল্লেক আলী কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদগ্রাম এলাকার সোনাউল্লাহর ছেলে। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আল্লেক আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। এ মামলার অপর আসামি ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আল্লেকের ভাই মনাকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অপর আসামিদের খালাস দেয়া হয়েছে। মনা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, টাকা-পয়সা নিয়ে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী হাফিজা খাতুনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে স্বামী আল্লেক আলী। ২০০৬ সালের ৩০ জুন সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার আগে রাতের যেকোনো সময় তাকে হত্যা করা হয়। হত্যার পর তার মরদেহ পুকুরে ফেলে দেয় স্বামী আল্লেক ও তার ভাই মনা।
এঘটনায় নিহতের মামা আসমত আলী ভেড়ামারা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। হত্যা মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু জাফর আসামির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ১৪ এপ্রিল আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। নির্ধারিত ধার্য তারিখে আদালতের বিচারক মামলার আসামিদের শাস্তির আদেশ দেন।
আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, টাকা-পয়সা নিয়ে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এবং হত্যায় সহযোগিতা করায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির ভাইকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় এ মামলার অপর আসামিদেরকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।