চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ বুধবার প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে কুশল মেন্ডিস ও জেনিত লিয়ানাগের ফিফটিতে ভর করে তিনশর দিকেই এগোচ্ছিল শ্রীলংকা। যদিও শেষ দিকে দারুণ বোলিংয়ে অতিথি দলটিকে ২৫৫ রানে অলআউট করতে সমর্থ হয় বাংলাদেশ। অবশ্য ২৫৬ রানের টার্গেটে টাইগারদের শুরুটা হয় বিভীষিকাময়। ২৩ রানেই ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। সাজঘরে ফির যান লিটন দাস, সৌম্য সরকার ও তাওহিদ হৃদয়। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ক্যাপ্টেন্স নকে (১২২*) অভাবনীয় এক জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। তাকে সুযোগ্য সঙ্গ দেন মুশফিকুর রহিম (৭৩*) ও মাহমুদউল্লাহ (৩৭)।
শান্তর তৃতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি শ্রীলংকার বিপক্ষে ১১তম ওয়ানডে জয় এনে দেয় বাংলাদেশকে। ১২৯ বলে খেলা ১২২ রান ওয়ানডেতে শান্তর সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। মুশফিক ৮৪ বলে ৭৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নামা শ্রীলংকাকে ঝড়ো সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও আভিস্কা ফার্নোন্দো। ১০ ওভারের প্রথম পাওয়ার প্লের পুরো সদ্ব্যবহার করে তারা ৭১ রান তুলে নেন। অবশেষে দশম ওভারে ফার্নান্দোকে আউট করে বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রু এনে দেন পেস বোলার তানজিম হাসান সাকিব।
এখানেই শেষ নয়। টানা তিন ওভারে তিন উইকেট শিকার করে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান তানজিম। ফার্নান্দোকে আউট করার পর ১২তম ওভারে পাথুম নিশাঙ্কা ও ১৪তম ওভারে সাদিরা সামারাবিক্রমাকে সাজঘরে ফেরান তিনি। যদিও এরপর সতর্ক হয়ে খেলতে শুরু করে লংকানরা। কুশল মেন্ডিস ও চারিথ আসালঙ্কা ৭৩ বলে ৪৪ রান যোগ করেন। আসালঙ্কাকে বোল্ড করে এই জুটি ভাঙেন স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর তরুণ লিয়ানাগেকে নিয়ে ৬৮ বলে ৬৯ রানের আরেকটি দুর্দান্ত পার্টনারশিপ উপহার দেন কুশল।
ভয়ংকর হয়ে ওঠা কুশলকে ইনিংসের ৩৭তম ওভারে সাজঘরে ফেরান তাসকিন আহমেদ। মিডঅফে তিনি ক্যাচ তুলে দেন নাজমুল হোসেন শান্তকে। এরপর লিয়ানাগে বাংলাদেশ দলের জন্য আতঙ্কের কারণ হয়ে থাকলেও শেষ দিকে দুর্দান্ত বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে ২৫৫ রানে অলআউট করে দেন তাসকিন ও শরিফুল। উভয়ই নেন তিনটি করে উইকেট। মিরাজ মিতব্যয়ী বোলিং করে বড় ভূমিকা রাখেন। তিনি ১০ ওভারে ৩৩ রান খরচ করে ১ উইকেট নেন।