কলকাতা থেকে, দেবাশীষ রায়:
কোটি কোটি মানুষের রসনা কে তৃপ্ত করেছে তার উদ্ভাবিত চিকেন টিক্কা মশালার দারুন স্বাদ, বছরের পর বছর ধরে । সেই মিঃ আলীর বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে মৃত্যু হলো গ্লাসগোতে ৭৭ বছর বয়সে ।
তার জন্ম হয়েছিল সম্ভবতঃ ১৯৪৫ সালের ১-লা এপ্রিলে অবিভক্ত ব্রিটিশ ভারতের পাকিস্থানে, কিন্তু খুবই অল্প বয়সে পরিবারের সঙ্গে চলে আসেন আমেরিকাতে।অতি দরিদ্র পরিবারের সদস্য হবার ফলে তাদের বিভিন্ন ছোট খাটো কাজে দিন গুজরান করতে হতো।বিভিন্ন রকমের রান্নাই ছিল তার হবি বা শখ । একটি প্রচলিত রান্নাকে কি ভাবে আরো রসনা তৃপ্তিকর করা যায়, সেই নিয়েই ভাবনা চিন্তা করতে থাকতেন তিনি ।স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোর ওয়েস্ট এন্ডে ‘শিশমহল (দিল্লির রেড ফোর্টে এই নামে একটি ছোট্ট অংশ আছে, যার সবটাই তৈরী ছিল শীশা বা কাঁচ দিয়ে ) নামে একটি রেস্টুরেন্ট খুলে বসেন ১৯৬৪ সালে।কয়েক বছর পরে এক গ্রাহক তাকে বলেন, তার রেস্টুরেন্টের চিকেন শুকনো স্বাদের ; তিনি অনুরোধ করেন সেটি যেন একটু টম্যাটো স্যস দিয়ে নরম ও ভেজা স্বাদের করে দেওয়া হয়।তখন অবধি সেই রান্নার নাম ছিল চিকেন টিক্কা । আরো বেশী মশলা ব্রিটিশ দের অপছন্দের।তা ছাড়াই কি ভাবে স্বাদ বাড়ানো যায়,তাই ভেবে তিনি দই আর ক্রিম দিয়ে সেটাকে আবার রাঁধেন নতুন ভাবে।তাই করতেই খুবই তারিফ করেন সেই গ্রাহক এবং অন্যান্যেরা । এভাবেই জন্ম হয় চিকেন টিক্কা মশালার।সেই চিকেন টিক্কা মশালা এতো নাম করে যে,২১ বছর আগে ব্রিটেনের তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী সেটিকে ব্রিটিশ ডেলিকেসির মর্যাদা দেন।