মো.নজরুল ইসলামঃমানিকগঞ্জ(১৭-৩-২০২৩)
‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক ও কমিউনিটি পর্যায়ে স্থানীয় সংগঠনের যৌথভাবে হরেক রকমের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
আজ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে মানিকগঞ্জ ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের শোলকুরা গ্রামের গবেষক মাসুদ বিশ্বাসের বাড়িতে লোকায়ত পদ্ধতিতে শিশু- কিশোররা ব্যাতিক্রমী লোকজ কারুশিল্পের প্রদর্শনী হয়।
একই দিনে সিংগাইর অঞ্চলের বিনোদপুর ঋষি পাড়ায় এবং মানিকগঞ্জ সদরে নবগ্রাম ইউনিয়নের চর বেংরুইতে চান মিয়ার বাড়িতে শিশু কিশোর নির্যাতন ও সামাজিক সহিংসতা প্রতিরোধে চিত্রাঙ্কন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পৃথক কর্মসূচীতে উপস্থিত থেকে বক্তৃতা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুছ দেওয়ান, ইউপি সদস্য মো.তজিমুদ্দিন, এ্যাডভোকেট শাহাদত সন্দিপন সায়েম,সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক, যুব উদ্যোক্তা মো.জাহিদ মিয়া। সহায়ক ছিলেন বারসিক কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, সুবীর সরকার, রিনা সিকদার, আছিয়া আক্তার, ঋতু রবি দাস, রুমা আক্তার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন –
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসে আমরা শিক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
উল্লেখ্য যে- ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রীয় ‘খ’ শ্রেণীভুক্ত দিবস হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে জাতীয় শিশু দিবস ঘোষণা করে ওই সময়ের মন্ত্রিসভা। ১৯৯৭ সাল থেকে দিবসটি পালন শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে এ দিনকে সাধারণ ছুটিও ঘোষণা করা হয়। অবশ্য ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হারানোর পর তৎকালীন বিএনপি সরকার জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন এবং সরকারি ছুটি বাতিল করে। ফলে ২০০২ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দিবসটি আর রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হয়নি। পরবর্তী সময়ে নবম জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগ নির্বাচিত হয়ে আবারো প্রতি বছর জাতীয় পর্যায়ে বড় আয়োজনের মাধ্যমেই ১৭ মার্চকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার প্রিয় মাতৃভূমিকে শিশুদের জন্য নিরাপদ আবাসভূমিতে পরিণত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। শিশুদের কল্যাণের লক্ষ্যে আমরা একটি যুগোপযোগী জাতীয় শিশুনীতি প্রণয়ন করেছি। শিক্ষার্থীদের বছরের শুরুতে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক প্রদান করা হচ্ছে। প্রায় শতভাগ শিশু আজ স্কুলে যাচ্ছে। আমরা শিশুদের জন্য জাতির পিতার জীবন ও কর্মভিত্তিক বই প্রকাশ এবং পাঠ্যবইয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরেছি। জাতীয় শিশু দিবসে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি মহান নেতার জীবন ও আদর্শ অনুসরণে এ দেশের শিশুদের যথাযোগ্য সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের সরকারের মুখ্য লক্ষ্য।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের শিশুরাই হবে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের সারথি। শিশুদের মনে দেশপ্রেম জাগ্রত করে তাদের ব্যক্তিত্ব গঠন, সৃজনশীলতার বিকাশ এবং আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে দলমত নির্বিশেষে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।