জীবিত মানুষ কে মৃত দেখিয়ে বয়স্ক ভাতার মৃত্যু সনদ দিয়ে অপর ৫ জনকে কার্ড দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে! বসন্তপুরের চেয়ারম্যান বিরুদ্ধে।

News Editor
প্রকাশ: ১ বছর আগে

 বিপ্লব কুমার বিশ্বাস রাজবাড়ী। পাঁচ জন জীবিত বয়স্ক ভাতা ভোগীদের মৃত্যু সনদ (ডেড সার্টিফিকেট) দিয়ে কার্ড বাতিল করে মোটা অর্থের বিনিময়ে অপর পাঁচ জনকে ভাতা কার্ড করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৮ নং বসন্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরদারের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ী জেলার সদর উপজেলার ৮ নং বসন্তপুর ইউনিয়নের ২,৫,৬,৭,৮ নং ওয়ার্ডে। সরেজমিনে অনুসন্ধানে দেখা যায়,২,৫,৬,৭,৮ নং ওয়ার্ডের ৫ জন ভাতা ভোগীগণ জীবিত থাকলেও বসন্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরদার তাদেরকে মৃত দেখিয়ে মৃত্যু সনদ দিয়ে সদর উপজেলার সমাজসেবায় রেজুলেশনের মাধ্যমে নতুন তালিকা দেন ভাতা কার্ডের জন্য। ভুক্তভোগী ও নতুন ভাতা কার্ড প্রাপ্তরা হলেন, ২ নং ওয়ার্ডের কোলা গ্রামের আইনুদ্দিন মোল্লার ছেলে আদ্বুস ছাত্তার মোল্লার ১৪ই জানুয়ারী-২২ তারিখে মৃত দেখিয়ে মৃত্যু সনদ দিয়ে বয়স্ক ভাতার কার্ড বাতিল করে একই এলাকার মফিজুল মুন্সী’র ছেলে নুর ইসলাম মুন্সীকে কার্ড করে দেন। ৫ নং ওয়ার্ডের রাজাপুর শাহেদা বেগম পিতা জলিল কাজীর ৫ই সেপ্টেম্বর-২২ তারিখে মৃত সনদ দিয়ে কার্ড বাতিল করে একই এলাকার মনোয়ারা বেগম পিতাঃ মোহন শেখ কে কার্ড করে দেন।৬ নং ওয়ার্ড বাজিতপুর গ্রামের মাজেদা বেগম পিতাঃ সাইজুদ্দিন মোল্লার ১৭ই সেপ্টেম্বর-২২ তারিখে মৃত সনদ দিয়ে ভাতা কার্ড করে একই এলাকার আছিরন বেগম পিতাঃ জুরান শেখ কে কার্ড করে দেন। ৭ নং ওয়ার্ড ধুলদী লক্ষ্মীপুরের হাতেম মন্ডলের ছেলে মোঃ পরশ মন্ডল এর ১৬ই এপ্রিল-২২ তারিখে মৃত সনদ দিয়ে একই এলাকার জব্বার মোল্লার ছেলে মোঃ মান্নান শেখ চেয়ারম্যানের বিয়াই কে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেন। ৮ নং ওয়ার্ড রঘুনাথপুর গ্রামের মনোয়ারা বেগম পিতা ইব্রহীম শেখ এর ১৫ই এপ্রিল-২২ তারিখে মৃত সনদ দিয়ে ভাতা কার্ড বাতিল করে একই এলাকার মোছাঃ আছিরন নেছা পিতা ইশারত ব্যাপারী কে কার্ড করে দেন। ভুক্তভোগীগণ জানান, আমরা জীবিত আছি এখনো। অথচ, আমারা নাকি মরে গোল্লায় গেছি তাই চেয়ারম্যান মরার কাগজ দিয়ে আমাদের কার্ড চেয়ারম্যানের নিজেদের লোকের করে দিছে। আমরা গরিব মানুষ। আমদের কার্ডের টাহা অন্য মানুষে উঠায়ে খাচ্ছে। চেয়ারম্যানের কাছে গেছিলাম, সে কইছে তোমরা আর টাহা পাবে না।তোমাগোরে কার্ড বাতিল হয়ে গেছে। তারপর আমরা সমাজ সেবার ফরিদা আপার কাছে গেছি অফিসে যায়ে শুনি,চেয়ারম্যান আমাগের মরার কাগজ করে মানষির কার্ড করে দিছে। আমাগের কার্ড ফেরত চাই। উল্লেখ্য,গতবছরের ৮ই জুলাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপলক্ষে ভিজিএফ চাউল বিতরনের ধারাবাহিকতায় বসন্তপুর ইউনিয়নে ১৭১০ জনের জন্য ভিজিএফ কার্ড বরাদ্দ হয়।বরাদ্দকৃত কার্ড বিক্রয়সহ গ্রাম পুলিশ ও স্থানীয় ব্যক্তিদের মাধ্যমে চাউল উত্তলন করে আত্মসাৎ করার তথ্য নিশ্চিতে দৈনিক বাঙালি সময়ের স্টাফ রিপোটার আতিয়ার রহমান,জেলা প্রতিনিধি বিপুল আহমেদ,দ্যা ডেইলি ট্রাইবুনালের জেলা প্রতিনিধি বিধান কুমার বিশ্বাস সহ দৈনিক অভিযোগ বার্তার জেলা প্রতিনিধি বিল্পব কুমার বিশ্বাস সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহের জন্য উপস্থিত হয়ে সরকারী চাউল বিতরনের কাজ শেষ অদ্বি দেখেন প্রতিবেদকগণ । এ সময় সাংবাদিের উপস্থিত থাকলেও দৃষ্টি এড়িয়ে চাউল বিতরনে কিছুটা অনিয়ম করলেও পুরাপুরি নয়ছয় করতে পারে নাই।এ সময় বেচে যায় ৫৩৫ টি কার্ডের চাউল ১৭৫ বস্তা। ভিজিএফ প্রথম দিনের বিতরণের পর ট্যাগ অফিসার পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আদ্বুর গফুর এর নিকট অবশিষ্ট চাউলের পরিমান জানতে চাইলে বাধা দেন চেয়ারম্যান জাকির ও তার ভাতিজা।পরবর্তী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মার্জিয়া সুলতানা’কে মুঠোফোনে এই অনিয়ন জানানোর পর তার নির্দেশে কাউন্ট করা হয় পরে ২য় দিন অবশিষ্ট চাউল বিতরনের সিদ্ধান্ত হয়। পুনরায় এই প্রতিবেদকগণ ২য় দিন চাউল বিতরন কালে উপস্থিত হয়ে ব্যাপক অনিয়মের তথ্য ট্যাগ অফিসার ও চেয়ারম্যানের সম্মুখে সংগ্রহ কালে প্রতিবেদকগণের সঙ্গে অসদাচরণ পূর্বক পরিষদ হতে বের হয়ে যেতে বলেন চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। প্রতিবেদকদের সংগৃহীত তথ্য নিয়ে কর্মস্থলে যাতে যেতে না পারে তার জন্য বাধাগ্রস্ত করতে ব্যাস্ত হয়ে ওঠেন। প্রতিবেদকগণ নিরাপত্তার জন্য তৎসময়ে সদর সার্কেল মাইনুদ্দিন চৌধুরী সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সহোযোগিতার আশ্বাস দেন পরে প্রতিবেদকগণ কৌশল অবলম্বন করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এবিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মার্জিয়া সুলতানা কে অবহিত করলে তিনি তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালেও তা আজ-ও সম্ভবপর হয়ে ওঠেনিই। ইন টু দ্যা পয়েন্ট এবছরের চলমান কর্মসৃজন (৪০ দিনের কর্মসুচি) প্রকল্পে অধিক জনবল দেখিয়ে সল্প জনবল দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন চেয়ারম্যান। প্রকল্পে ১০৮ জন জনবল দিয়ে কাজ করার কথা থাকলেও সরেজমিনে পাওয়া যায় ৬৬ জন। যেখানে অনুপস্থিত জনবল ৪২ জন। যাদের দৈনিক হাজিরা ৪০০ টাকা। তাহলে ৪০ দিনের কর্মসুচিতে ৪২ জন কম জনবলের প্রায় ৭ লক্ষ টাকা কি আত্মসাৎ হবে প্রশ্ন জনমনে। সকল বিষয় নিয়ে একের পর এক অভিযোগ করলেও সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক কোন ব্যবস্থাই গ্রহন করা হচ্ছে না। স্থানীয়রা জানান, জাকির হোসেন সরদার এতো অনিয়ম করা সত্বেও জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করছে না। তাহলে কি জাকির চেয়ারম্যান আইন আদালতের-ও উদ্ধে! সঠিক ভাবে তদন্ত করলে বেড় হয়ে আসবে চেয়ারম্যানের থলের বেড়াল। এ বিষয়ে বসন্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন সরদারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, মেম্বাররা আবেদন করায় আমি মৃত্যু সনদ দিয়েছি। এ বিষয়ে হাবিবর মেম্বার বলেন, আমারা আবেদন করলাম না অথচ মৃত্যু সনদ দিয়েছেন চেয়ারম্যান। এই সনদে আমাদের কোন সিগনেচার নেই। এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মার্জিয়া সুলতানা জানান, তিনি এ বিষয়ে দোষ স্বীকার পূর্বক ভাতা কার্ড পুনরায় পুনঃ বহাল করার জন্য সমাজসেবা অফিসার বরাবর চিঠি দিয়েছেন।