দিল্লিতে বাইক আরোহী তরুণীকে চাপা দিয়েও থামল না ঘাতক গাড়ী

News Editor
প্রকাশ: ২ years ago

 

কলকাতা থেকেঃ দেবাশীষ রায়

উপলক্ষ্য ছিল নতুন বছরের উৎসব । সম্ভবতঃ মত্ত ছিল গাড়ির আরোহী পাঁচ জন সকলেই । কোন কারণে সামনে এসে পড়ে একটি স্কুটি । তাতে আরোহী এক তরুণী । রাত তখন ভোর হয়ে এসেছে, পুলিশের দলের দেখা নেই কোথাও । সুবর্ণ সুযোগ হাতে পেয়ে হয়ত তর সইছিল পাঁচ মদ্যপের । হয়ত তারা শুধু শ্লীলতাহানি বা আরো একটু এগিয়ে একটু গণধর্ষণ জাতীয় স্ফূর্তি করতে চেয়েছিল । কিন্তু সুযোগ না পাওয়ায় গাড়ির ধাক্কায় তাকে পথে ফেলে দেয় আর, তার উপর দিয়েই চালিয়ে দেয় বিলাসবহুল গাড়ীটা । কিন্তু কিভাবে যেন তরুণীর দেহ আটকে যায় গাড়ির নীচের অংশে । সেই দেহটাকে নিয়েই চক্কোর কাটতে থাকে গাড়িটা একবার দুবার নয়, প্রায় দেড় ঘন্টা যাবৎ । বেশ কিছুকাল আগে ঘটেছিল দিল্লিতে নির্ভয়া কান্ড । তার পর সেই একই ধরনের এই নারকীয় ঘটনা ঘটেছে দিল্লিতে আবার । আশ্চর্যের ব্যাপার হল, এবারেও অপরাধী বা একটু লুকিয়ে বলতে গেলে সন্দেহের তীর যাদের দিকে গিয়েছে, সংখ্যায় তারাও পাঁচ জনই ।
অঞ্জলী নামের মাত্র ২০ বছর বয়েসী ওই তরুণীর বাড়ী দিল্লির আমন বিহারে । কয়েক বছর আগে তার পিতার মৃত্যু হয় । বাড়িতে আছেন তার মা, তিন বোন ও দুই ভাই । সঙ্গে সঙ্গেই হয়ত তার মৃত্যু হয়েছে । কারণে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে তার দেহকে গাড়ি ও পথের উপর দিয়ে ঘসটানো হয়েছিল । মঙ্গলপুরীর এস জি এম হাসপাতালে দেহ নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা বলেন তার অনেক সময় আগেই মৃত্যু হয়েছে । অভিযুক্তদের সকলেরই বয়েস ২৬/ ২৭ বছরের কাছাকাছি এবং নাম যথাক্রমে, মনোজ মিত্তল, দীপক খান্না, অমিত খান্না, কৃশন ও মিঠুন । তাদেরকে রোহিনী আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাদেরকে ৩-দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেন । কাঞ্জাওয়ালা রোডের মিস্টির দোকান দার দীপক দহিয়া এই নির্মম হত্যাকান্ডের প্রত্যক্ষদর্শী । তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন ভোর ৩টে ২০ মিনিট দোকানের বাইরে দারিয়ে থাকার সময় তিনি একটি প্রচন্ড আওয়াজ শোনেন । প্রথমে তার মনে হয়েছিল হয়ত কোন গাড়ির টায়ার ফেটেছে । পরে, লক্ষ্য করে দেখেন একটি গাড়ীর নিচে এক তরুণীর দেহ আটকে রয়েছে এবং সেই অবস্থায় সেই দেহ কে মুক্ত করার জন্য আরোহীরা অনবরত ঘুরপাক খেয়ে যাচ্ছে । তিনি তখনই পুলিশের ১১২ নম্বরে ফোন করেন এবং মোটরবাইক নিয়ে তিনি তাদেরকে থামানোর চেষ্টাও করেন ।
দিল্লির লেফটেনান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনার পদত্যাগের দাবীতে মুখর হয়েছে দিল্লির রাজপথ । দুর্ঘটনায় তরুণীর মৃত্যু কে বিরলের মধ্যে বিরলতম বলে উল্লেখ করে দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক সাজার দাবী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল ।