সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার উপজেলায় অযত্ন-অবহেলায় প্রায় সারা বছরই অরক্ষিত থাকে বাংলাবাজার ক্লাব এবং মুক্তিযোদ্ধাদের শহীদ মিনার। তাছাড়া এ শহীদ মিনারটি ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন facebook এ সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি শহীদ মিনানের যথাযথ মর্যাদা, পবিত্রতা ও ভাবগাম্ভীর্য রক্ষার বিষয়টি হানি হচ্ছে বলেও তাদের অভিযোগ।
এ বিষয়ে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে ভাষাসৈনিক ও সচেতন মহলের একটিই দাবি, তারা যেন শহীদ মিনারের মর্যাদা ও পবিত্রতা রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। কারণ ইতিপূর্বে শহীদ মিনারের মর্যাদা রক্ষায় কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, দিনের বেলা অনেকে জুতা-সেন্ডেল পরেই শহীদ মিনারের বেদিতে ঘোরাফেরা করে। তাছাড়া মূল বেদিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকে নোংরা ময়লা-আবর্জনা, সিগারেটের প্যাকেটসহ অসংখ্য উচ্ছিষ্ট অংশ। আর ময়লা-আবর্জনায় ভরে থাকে চারপাশ। যাত্রীরা সবসময় জুতা পায়ে শহীদ মিনার বেদিতে যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করেন। আর বেষ্টনি ও সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি টাঙানো না থাকায় অনেক পথচারী আবার ভুলে রাতে শহীদ মিনারের ওপরে প্রস্রাবের জন্য বসে পড়ে। শহীদ মিনারে পুলিশের বিচরণ না থাকায় বেশিরভাগ সময় সন্ধ্যা নামতেই মিনারের মূল বেদিসহ আশপাশে মাদক বিক্রি শুরু করে মাদক চোরাকারবারিরা। হরহামেশাই শহীদ মিনারের মূল বেদিতে জুতা-সেন্ডেল নিয়ে ধূমপান করে মানুষ। এ বিষয়ে বাংলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান এর নিকট জানতে চাইলে প্রতিবেদকে জানান যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল প্রস্রাবের বিষয়টি সত্য নয় ইমাম দুজন ডিলা ব্যবহার করার জন্য নিরাপদ স্থানে গিয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা প্রিয়াঙ্কার নিকট জানতে চাইলে প্রতিবেদকে জানান আমি একটু মিটিংগে আছি পরে ফোন করতে হবে।