প্রতিনিধি ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ , ৪:০৬:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ
দোয়ারাবাজারে জোরপূর্বক ভিটে বাড়ির গাছ কেটে অবৈধভাবে রাস্তা নির্মাণের পায়তারা করে আসছে একটি শক্তিশালী মহল।
সোমবার (১৬জানুয়ারি-২৩) সরেজমিনে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের করালিয়া গ্রামে উপস্থিত হলে, স্থানীয় করালিয়া গ্রামের মৃত খুরশিদ আলীর পুত্র আরজ আলী, মৃত ইমান আলীর পুত্র জামাল উদ্দিন সহ এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আব্দুল জলিলের বাড়ির সীমানা সংলগ্ন উত্তর পাশে সরকারি বিশাল রাস্তা থাকলেও জোরপূর্বক ময়না মিয়ার বসত বাড়ির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণের পায়তারা করছে তারা। ময়না মিয়া দীর্ঘদিন যাবত নিজ রেকর্ডিয় ও সরকারি হালটে গাছপালা লাগিয়ে বসত ভিটা তৈরী করে বসবাস করে আসছে। হালটের মধ্যে পাড়ার মানুষের খাবার পানির সুবিধার্থে একটি টিউবওয়েল ও রয়েছে। ময়না মিয়া একজন অসহায় ও গরিব লোক এই জায়গায় রাস্তা হলে ঘরবাড়ি ভেঙে ও গাছপালা কেটে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি সাধন হবে বলেও জানান তারা। এছাড়াও আব্দুল জলিল অসহায় ময়না মিয়াকে একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে।
এছাড়াও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জানান, আব্দুল জলিলের লাঠিয়াল বাহিনী ও জোরজুলুমের কাছে কেউ টিকতে পারে না। পুরো এলাকা তার কাছে জিম্মি।
ময়না মিয়া বলেন আমার রেকর্ডিয় বসত ভিটার মধ্য দিয়ে ৮/৯ ফুট প্রস্তের একটি সরকারি হালট রয়েছে। হালট ও আমার রেকর্ডিয় ভূমিতে লাখ টাকার গাছ লাগিয়েছি, সেখানে আমার বসতঘর ও টিউবওয়েল রয়েছে। আব্দুল জলিলের বাড়ির সীমানা সংলগ্ন উত্তর পাশে সরকারি রাস্তা রয়েছে। একাধিক সরকারি রাস্তা থাকার পরও আমাকে মেরে ফেলার হুমকি সহ আমার বাড়িঘর ভেঙে রাস্তা নির্মাণের পায়তারা করছে আব্দুল জলিল।
আব্দুল জলিলকে না পাওয়ায় তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম বলেন, হালট টি সরকারি জজ কোট থেকে সার্ভেয়ার পাঠিয়ে মাপঝোঁক করা হয়েছে। এই হালটি আমাদের কাগজের জায়গা। ময়না মিয়া বাড়িঘর ও গাছ লাগিয়ে রাস্তা দখল করে রাখছে।
দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেবদুলাল ধর জানান, হালটের জায়গা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে।
Design & Developed by BD IT HOST