দোয়ারাবাজারে এনআরসি এবং ইরা প্রকল্প সমাপনী ও শিখন বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহষ্পতিবার উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদে এবং দোহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে ছাতক-দোয়ারাবাজার উপজেলা ইরার প্রজেক্ট অফিসার ফজলুল করিমের সঞ্চালনায় পৃথক সমাপনী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় নতুন কৃষ্ণনগর গ্রামের হাবিবা বেগম বলেন, ভয়বাহ বন্যা পরবর্তী সাড়ে ৪হাজার টাকা পেয়েছি এবং ঘর মেরামতের জন্য আরও ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতা পাই।
আল আমিন সোহাগ বলেন, ভয়াবহ বন্যা পরবর্তী এনজিও সংস্থা ইরার পক্ষ থেকে পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষকে আর্থিক সহযোগিতা এবং ঘর মেরামত করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সাড়ে চার হাজার টাকা করে ১১ শ ৩৮ জন এবং ১০ হাজার করে ২ শ জন মানুষকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়।
তাওফিক আহমদ বাবুল বলেন, এনআরসি এবং ইরা প্রকল্পের জরুরি মানবিক সহায়তা প্রদান করায় আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় অসংখ্য অসহায় মানুষ পরিবার নিয়ে বেঁচে আছে এবং মাথাগোঁজার ঠাঁই হয়েছে।
ইউপি সদস্য আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, আমরা হাওর বেষ্টিত একটি অঞ্চল। গত ভয়াবহ বন্যায় আমাদের এলাকার বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইরা প্রকল্প আসায় আমাদের অসহায় মানুষ অনেক লাভবান হয়েছে। আমরা জনপ্রতিনিধি হয়ে যা করতে পারিনি এনজিও সংস্থা ইরা তা করতে পেরেছে। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং দাতা গণের প্রতি অবিরল কৃতজ্ঞতা জানাই।
দোহালিয়া ইউনিয়নের রগুরামপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম বলেন, ইরার মানবিক সহায়তা পেয়ে মাথাগোঁজার ঠাঁই পেয়েছি।
ইরার মনিটরিং অফিসার ইউসুফ বলেন, মানবিক সহায়তা প্রকল্পের কাজে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং জনসাধারণ সার্বিক সহযোগিতা করছেন। এ জন্য আমরা প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পেরেছি।
সভাপতির বক্তব্যে পান্ডারগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহিদ বলেন, ইরা মানবিক সহায়তা প্রকল্প শতভাগ সততার সঙ্গে বাস্তবায়ন করেছে। ৬ মাসে পান্ডারগাঁও ইউনিয়নে ১ কোটি ২০ লাখ টাকার মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে। সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
সভায় সভাপতিত্ব করেন যথাক্রমে পান্ডারগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহিদ ও দোহালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শামীমুল ইসলাম শামীম। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইরার মনিটরিং অফিসার মোঃ ইউসুফ। এসময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যম কর্মী এবং উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।