দৌলতপুরে হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ঘুস ছাড়া নেই কোন সেবা

প্রকাশ: ১ বছর আগে

মোঃ জিয়াউর রহমান কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ

দালালের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সেবাপ্রত্যাশীরা। ভূমিসংক্রান্ত যেকোনো জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে হলে প্রথমে ভূমি অফিসে ভুক্তভোগীদের হতে হয় হয়রানির শিকার, হয়রানি লাঘবে ছুটে আসে দালাল চক্র। এবার মিলবে সেবা, তবে গুনতে হবে কাজ দেখে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা। প্রথমেই কাগজপত্র ভুলে ভরা বলে বিদায় করেন। জমির নামজারি করতে গেলে কাগজের জটিলতা দেখিয়ে দলিলপ্রতি ভুক্তভোগীদের গুনতে হয় পাঁচ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, অতিরিক্ত টাকা নিলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তার আরেক নাম আতঙ্ক। জমির খাজনা দিতে গেলেও গুনতে হয় অতিরিক্ত টাকা আবার অনেক সময় টাকা দিয়েও মেলে না সেবা। অনেকে টাকার চাপে সেবা না নিয়ে ফিরেও যান

একাধিক ভুক্তভোগী জানান, নিজের নামের জমি, নাম খারিজ করতে হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আনিসুর রহমানের দ্বারস্থ হলে এ টেবিল সে টেবিল কাগজ চালাচালি করে। কাগজ নানারকম ভুলে ভরা বলে বিদায় করেন। পরে অফিসের দালালদের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা দিয়েই ওই কাজ করতে হয়েছে। টাকা দিয়েও কাজ হয়নি, আরও বেশি টাকার বায়না থাকায় নামজারির কাগজ মিলছে না তিন সপ্তাহ ধরে। জমি যদি কাগজের মতো হতো, তাহলে ছিঁড়ে ফেলতাম, নামজারির জন্য তিন মাস এই বারান্দায় সেই বারান্দায় ঘুরছি। উপজেলা ভূমি অফিসে গিয়েও ঘুরতে হয়েছে। ঘুস ছাড়া এই ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কোনো কাজই হয় না। পাঁচ টাকার খাজনা দিতে লাগে ৫০০ টাকা, চাহিদা এমনই। আমি জমির খাজনা না দিয়েই চলে যাচ্ছি।

 

দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন। এখানে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া বা সেবা গ্রহীতাদের কোনো হয়রানি করা হয় না। এখন সবাইকে অনলাইনে নামজারির আবেদন করতে হয়। দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীদুল ইসলাম বলেন, উপজেলার সব ইউনিয়ন ভূমি অফিসে নামজারির কী পরিমাণ টাকা লাগবে, তার নির্দেশনা দেওয়া আছে, অতিরিক্ত টাকা নিলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।