নিজস্ব প্রতিবেদন :
রাজশাহীর পুঠিয়ায় বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন ঘরে বসে ইচ্ছেমত বিল তৈরি করে গ্রাহকদের সরবরাহ করছেন। আবার অতিরিক্ত টাকা আদায় করতে কয়েকটি ধাপ সংযোজন করে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। সাধারণ গ্রাহকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, এটা দাপ্তরিক গাফলতি নয়, বরং সাধারন গ্রাহকের নিকট থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের একটি কৌশল!
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর অধিনে পুঠিয়া আঞ্চলিক দপ্তরের প্রতিনিয়ত এমন ঘটনা ঘটছে।
পুঠিয়া আঞ্চলিক দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। উপজেলায় আবাসিক, বানিজ্যিক ও শিল্প মিলে মোট ৭৫ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে। এদিকে বানিজ্যিক ও শিল্প গ্রাহকদের প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ নির্ধারিত ফ্লাট রেট করা আছে। আর আবাসিক মিটারে প্রথম ধাপে এক থেকে ৭৫ ইউনিট। প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ দর ৪.৮৫ টাকা। দ্বিতীয় ধাপে ৮০ থেকে ২০০ ইউনিটের দর ৬.৬৩, তৃতীয় ধাপে ২০১ থেকে ৩০০ ইউনিটের দর ৬.৯৬, চতুর্থ ধাপে ৩০১ থেকে ৪০০ ইউনিটের দর ৭.৩৪ টাকা।
ধোপাপাড়া এলাকার বিদ্যুৎ গ্রাহক আরমান আলী বলেন, তার বাড়িতে প্রতিমাসে গড় বিল আসে ৪৫০-৫৫০ টাকার মধ্যে। অথচ এপ্রিল মাসে তার বিল এসেছে ১ হাজার ৭৩৪ টাকা।তিনি বলেন, দুই ধাপে স্লাব বাড়ালেই বিদ্যুতের বিল বেড়ে যায় দুই গুন। অথচ অফিসের লোকজন যথা সময়ে মিটার যাচাই করে বিল তৈরি করলে অনেক গ্রাহক অতিরিক্ত অর্থ লোকসান থেকে রেহায় পাবেন।
উপজেলা সদর এলাকার কৃষ্ণপুর গ্রামের বিদ্যুৎ গ্রাহক মোহাম্মদ আলী বলেন, তার একটি বাণিজ্যিক সংযোগ রয়েছে। গত এপ্রিলে তার বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়েছে ১৮০ ইউনিট। অথচ বিল এসেছে ৯৮০ ইউনিটের। বিষয়টি বিদ্যুৎ অফিসকে জানালে তারা পূর্ণতদন্ত করে ১৮০ ইউনিট নিশ্চিত করে আবার নতুন বিল দিয়েছেন। তিনি বলেন, অফিসের লোকজন মিটার না দেখে ঘরে বসে তাদের ইচ্ছেমত বিল তৈরি করেন। আর তাদের কারণে গ্রাহকদের অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়।
এ বিষয়ে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম ইয়াকুব আলী শেখ বলেন, মাঝে মধ্যে দুই একটি বিল তৈরির সময় ভুল হতে পারে। সেটা অফিসের লোকজন কৌশল বা ইচ্ছে করে করেন না। তবে কোনো গ্রাহকদের সাথে এমন হয়ে থাকলে অফিসে আসলে আমরা সেটা তদন্ত করে ঠিক করে দেয়।