পাশ কাটিয়ে চলছে হাইকমিশণ, চাপে আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগ।

News Editor
প্রকাশ: ১ বছর আগে

নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশে চলমান আমলা বনাম রাজনীতিবিদ দ্বন্দ্বের ছোঁয়া লেগেছে আয়ারল্যান্ডেও। সরকারী দল আওয়ামী লীগের আয়ারল্যান্ড শাখার নেতা কর্মীদের পাশ কাটিয়ে নিজেদের পছন্দের লোকদের সাথে সমন্বয় করে আয়ারল্যান্ডে কার্যক্রম চালাচ্ছে লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশণের কর্মকর্তারা। বিগত কিছু ঘটনা সহ সামনের পাসপোর্ট সার্জারি সেবার দ্বাযিত্ব ডাবলিনের একটি সংগঠনকে দেয়ায় বিব্রত আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক, সদস্য সচিবসহ অন্যান্য সদস্যরা ।

বাংলাদেশী রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশী দূতাবাসগুলো সরকারী দলের অনুগত আমলাদের দ্বারা পরিচালিত হয়। সরকারী দলের প্রবাসী নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখর থাকে দূতাবাসগুলো; অন্যদিকে সরকার বিরোধী প্রচারণাকারীদের সেবা দেয়ার বদলে হেনস্থা করার খবর অহরহই দেখা যায়। আয়ারল্যান্ডে এই ঐতিহ্যের ঠিক উল্টো নিদর্শন স্থাপন করলো বাংলাদেশ হাইকমিশণ ।
গত ৬ মার্চ ২০২৩ ডাবলিনের হারকোর্ট স্ট্রিটে একটি হোটেলে ডাবলিন ভিত্তিক সংগঠন বিসিডির একটি সভায় উপস্থিত হন ও পরবর্তীতে তাদের সাথে নৈশভোজ সম্পন্ন করেন হাইকমিশণার ও কর্মকর্তারা । এই সভার সরাসরি সম্প্রচারে আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সদস্য সচিব সহ শীর্ষ নেতাদের অনুপস্থিতি ও সরকার বিরোধী দলের সক্রিয় নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ, উপস্থাপনা কমিউনিটির সকলকে বিষ্মিত করেছে । সভায় “জয় বাংলা” না ব্যবহার করে “বাংলাদেশ জিন্দবাদ” স্লোগানের ব্যবহারে মিথষ্ক্রিয়া চলছে আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মাঝে।

এ ব্যাপারে আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক বেলাল হোসেনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, সভার আয়োজন সম্পর্কে তাকে কয়েকদিন আগেই অবগত করেছিলো আয়োজকরা,কিন্তু আহ্বায়ক কমিটির অন্য কাউকে না জানানোয় তিনি উপস্থিত হননি। সেই সভায় তাকে না জানিয়েই বিসিডির মাধ্যমে পাসপোর্ট সার্জারির প্রতিশ্রুতি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়কের প্রতি এমন অবহেলাকে “ অপমানজনক ও অগ্রহণযোগ্য “ হিসেবে উল্লেখ করেছেন আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রফিকুল ইসলাম । দূতাবাস কর্মকর্তাদের এধরণের কর্মকান্ড রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলার ঘোষণা দেন আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এই বর্ষীয়ান নেতা। সর্ব ইউরোপীয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারকদের কাছে এই ঘটনা পৌছানোর কার্যক্রম চলছে। এ বিষয়ে আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সদস্য সচিব ও দৈনিক অভিযোগ বার্তার উপদেষ্টা সম্পাদক এবং বিশিষ্ট কলামিস্ট ইকবাল আহমেদ লিটন বলেন, “ আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য সামাজিক সংগঠনকে বাদ দিয়ে একটা বিশেষ গোষ্ঠীর প্রতি হঠাৎ দূর্বলতার কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। আর্থিক দূর্ণীতি অনুসন্ধানে দূদকের সাহায্য চাওয়া হয়েছে।”
আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদ প্রায় শেষ, সামনে নির্বাচন। দেশের অভ্যন্তরে মূল্যস্ফীতি ও অর্থনীতির অব্যবস্থাপনাসহ পশ্চিমের চাপ সামলাতে ব্যস্ত আওয়ামী লীগ। এমন অবস্থায় সবসময়ই সেফ এক্সিট খোঁজে একটি সুবিধাবাদী গোষ্ঠী। বাংলাদেশ দূতাবাস কর্মকর্তাদের এধরনের আচরণ কিসের আভাস তা এখন ভাবনার বিষয়।