বরগুনায় অর্থশত নারীকে কৃষি উন্নয়ন প্রশিক্ষণ

News Editor
প্রকাশ: ১ বছর আগে

বরগুনা জেলা প্রতিনিধি মোঃ সরোয়ার

বরগুনার পাথরঘাটায় জৈব সার প্রস্তুত ও জলবায়ু সহনশীল কৃষি উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার পাথরঘাটা উপজেলার সদর পাথরঘাটা ইউনিয়নের পদ্মা গ্রামের পদ্মা কমিউনিটি কাইমেট রেজিলিয়েন্স সেন্টারে জলবায়ু সহনশীল কৃষি উন্নয়ন বিষয়ক তিনদিন প্রশিক্ষণ শেষ হয়।

এতে উপকূলীয় পাথরঘাটা উপজেলার অর্ধশত নারী কৃষক ‘হাতে-কলমে শিখবো, পারিবারিক কৃষি করবো, নিজের চাহিদা মেটাবো, জলবায়ু সহনশীল কৃষি খামার করবো’ এমন অঙ্গীকার করেন।

সিসিডিবি- এনগেজ প্রকল্পের আওতায় জলবায়ু সহনশীল কৃষি উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন, পাথরঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শওকত হোসেন, সিসিডিবির প্রোগ্রাম অফিসার ফাতেমা আক্তার রিয়া, প্রকল্পের কমিউনিটি অর্গানাইজার অভিজিৎ মজুমদার রতন, সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন, কমিউনিটি কাইমেট রেজিলিয়েন্স সেন্টারের সভাপতি আবদুর রহিম প্রমুখ। তিনদিন এ প্রশিক্ষণে অর্ধশত নারী কৃষক প্রশিক্ষণ নেয়। প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের ১০ ধরনের বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।

নারী কৃষক ইশিতা রানী, খালেদা বেগম, নমিতা রানী বলেন, আমরা অনেকদিন ধরে বাড়ির আঙিনায় এবং মাঠে কৃষির কাজ করছি। এর আগে কীটনাশক ব্যবহার করতাম। কয়েকবছর ধরে জৈব সার ব্যবহার করি। কিন্তু জৈব সার তৈরি, প্রয়োগ এবং কৃষির উপর কোন প্রশিক্ষণ ছিলো না। তিনদিন জলবাযু সহনশীল কৃষি খামার বিষযক প্রশিক্ষণ পেয়েছি। জৈব কৃষি প্রযুক্তি সম্পর্কে হাতে-কলমে বাস্তবসম্মত জ্ঞান লাভ করেছি। আমরা এই প্রশিক্ষণ নিয়ে বাস্তবে কাজে লাগাবো। হাতে কলমে শিখে পারিবারিক কৃষি চাষ করে অন্তত নিজেদের চাহিদা মেটাবো।

সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, দিনদিন নারী কৃষকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে কিন্তু তাদের নিয়ে কেউ ভাবছে না। নারী কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে জাতীয় বাজেটে এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ ইউনিযন পরিষদের বাজেটে নারী কৃষকদের জন্য আলাদা বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শওকত হোসেন বলেন, বাংলাদেশে আদিকাল থেকেই জৈব কৃষি ব্যবস্থা চালু ছিলো। জৈব সার টেকসই, লাভজনক এবং বিষমুক্ত। জৈব সার পরিবেশ সম্মত এবং সামাজিক সম্পৃতি বৃদ্ধিতে সহায়ক।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী পারিবারিক কৃষির উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। সকলকে বিষমুক্ত কৃষি চাষ করার জন্য কৃষকদের আহ্বান জানান, পাশাপাশি নারী কৃষকদের পারিবারিক কৃষির ক্ষেত্রে আরও এগিয়ে আসতে হবে।