বরগুনায় খেয়া পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে, ৩ মাঝির কারাদণ্ড

প্রকাশ: ১ বছর আগে

বরগুনা জেলা প্রতিনিধি মোঃ সরোয়ার
বরগুনার আমতলী-পুরাকাটা পায়রা নদীর খেয়া পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে তিনজন খেয়া নৌকার মাঝিকে ১০ দিনের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। রোববার (২১ মে) বিকেলে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আশরাফুল আলম এই আদেশ দেন। জানা গেছে, আমতলী-পুরাকাটা পায়রা নদীর খেয়া পারাপারে ইজারাদার জাকির হোসেন গত এক মাস ধরে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছিলেন। জেলা পরিষদের মূল্যতালিকার চার্টে খেয়া পারাপারে জনপ্রতি ভাড়া ২০ টাকা থাকলেও তিনি ২৫ টাকা আদায় করতেন। এছাড়াও সন্ধ্যা হলে জনপ্রতি ৫০ টাকা ভাড়া আদায় করতেন। এ নিয়ে মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছিল। এমনকি অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে ইজারাদারের লোকজন অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ লাঞ্ছিত করতেন এমন অভিযোগও রয়েছে। সবশেষ রোববার আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আশরাফুল আলম ওই খেয়াঘাটে অভিযান চালান। ওই সময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪০ ধারায় খেয়া নৌকার মাঝি খলিলুর রহমান তালুকদার, সিদ্দিকুর রহমান হাওলাদার ও শহীদুল ইসলাম খানকে ১০ দিনের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। তারা সবাই সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের পূর্ব বুড়িরচর গ্রামের বাসিন্দা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে খেয়াঘাটের ইজারাদার মো. জাকির হোসেন মুঠোফোনে অভিযোগ বার্তা প্রতিনিধিকে বলেন, আমি অনেক দূরে আছি। এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারব না। তবে অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে আমতলী থানার ওসি এ কে এম মিজানুর রহমান অভিযোগ বার্তা প্রতিনিধিকে কে বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১০ দিনের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ওই তিন খেয়া নৌকার মাঝিকে বরগুনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। সার্বিক বিষয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম অভিযোগ বার্তা প্রতিনিধিকে কে বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪০ ধারায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় ওই তিন খেয়া নৌকার মাঝিকে ১০ দিনের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে যাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হয়েছে তাদের বাড়তি টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন ইউএনও।