ইকবাল আহমেদ লিটন
বাঙালির প্রানের উৎসব পহেলা বৈশাখ। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ধনি, গরিব ভেদাভেদ ভুলে সবাই যে একাকার হয়ে যায় এই দিনে। তবুও মনে হয় একটু বৈষম্য থেকে যায়। কেউ নববর্ষ উদযাপন করবে রমনার বটমুলে, কেউ কাটাবে রুমে। অনেকই তার প্রিয়জনদের নিয়ে ঘুরতে বের হবে।কেউ লোকের অভাবে রুমই হবে বৈশাখ উদযাপনের প্রিয় জায়গা। আবার কেউ রুজির সন্ধানে বের হবে। এই দিনে অধিকাংশ নতুন পোষাক পরবে। কেউ পুরাতন কে আকড়িয়ে ধরে নতুনের বাসনা মিটাবে। কেউ ভোজন করবে বিদেশি ফুড। কেউ পান্তা ইলিশ নিয়ে ব্যস্ত আবার কেউ পুঁটি পান্তা নিয়ে ব্যস্ত থাকবে আর কিছু ব্যস্তই থাকবেনা কারন তারা জানেনা পহেলা বৈশাখ কি। আসলে কি এমন হওয়ার কথা ছিল? সমাজ থেকে যে বৈষম্য দূর করার জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলাম। আসল ও স্বাধীনতার ৫২ পার হওয়ার পর ও ,কি সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করতে পেরেছি মনে এই প্রশ্ন বার বার জাগে। তবুও আশাবাদি কোন একদিন সব বৈষম্য দূর হয়ে আমাদের দেশ হবে সুখি সমৃদ্ধি। মুছে ফেল হৃদয়ের শোনিতের দাগ, ভুলে যাও শোক যাহা আছে– অতীতের স্মৃতিটুকু থাক পিছে পড়ে, তারে আর ডাকিওনা কাছে। এ তো কবিতার কথা, সব কিছু কি ভুলে যায়, নাকি ভুলে যাওয়া ঠিক? আগামীর ঠিকানায় ছুটে চলা জীবনে কিছুকিছু স্মৃতি ঠিকই মনে রাখবে, আর জীবনের নিয়মে বাকি সব ভুলে যাবে অবলিলায়। ১৪২৯ সালের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে মনে আমার পড়েছে অনেক প্রিয় স্মৃতি তোমাকে নিয়ে অনেক অর্জন, বিসর্জন, অনেক পাওয়ার আনন্দ এবং না পাওয়ার ব্যাথা। আজ যদি কেউ আমাকে জিজ্ঞাস করে বিগত বছরে আমি কি পেলাম? তবে উত্তর খুব সহসা দিতে পারবো বলে মনে হয়না কিন্তু যদি প্রশ্ন করা হয় কি হারালাম? তবে খুব সহজেই বলা যাবে জীবনের একটি পুরো বছর -৩৬৫ টি দিন।এইভাবে হারাতে – হারাতে এক সময়ে জীবন নদীর সুদীর্ঘ পথ পেরিয়ে মোহনায় এসে দাঁড়াবো আমরা। তারই ধারাবাহিকতায় আজ স্বাগত জানাবো নতুন আর একটি বছরকে।সেই সাথে বিদায় দিতে হবে অনেক স্মৃতি বিজড়িত পুরোনো বছরকে।নতুন বছর সবার জীবনে বয়ে আনুক শান্তির সুবাতাস, বন্ধ হোক সমস্ত যুদ্ধ।মানুষে-মানুষে গড়ে উঠুক ভালোবাসের মায়াজাল। সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায় সকলকে জানাই বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা -শুভ নববর্ষ! -বিদায় ১৪২৯ স্বাগতম ১৪৩০। ২০২২ – ২০২৩। – লেখকঃ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, -ইকবাল আহমেদ লিটন,সদস্য সচিব,আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগ ও অভিযোগ বার্তার প্রধান উপদেষ্টা সম্পাদক।