জেলা প্রতিনিধি শরীয়তপুরঃ সকালের শিশির ভেজা আলো উজ্জীবিত হওয়ার প্রাক্কালে, তোপধ্বনির মাধ্যমে, সম্মান জানিয়ে বাংলার স্বাধীনতার বিজয়কে, মানুষের হৃদয়ে তুলে দেওয়ার প্রয়াস করে, জাজিরা থানা পুলিশ।এর পরপরি পথযাত্রা ও শুভেচ্ছা তোরন অর্পনের মাধ্যম দিনের কার্যক্রম এর সুচনা করেন,জাজিরা উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধারা। বিগত অর্ধশতাব্দী ধরে ১৬ ডিসেম্বর তারিখটি বাংলাদেশ বিজয় দিবস হিসেবে উদযাপন করে আসছে – কারণ ১৯৭১র এই দিনেই ভারতীয় সেনা জগজিৎ সিং অরোরা মুক্তিবাহিনীর কাছে ঢাকায় আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তান এর লেঃ জেনারেল নিয়াজি। মুলত শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষনে স্বাধীনতার ঘোষনা দেওয়ার পরেই, যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছিল। দির্ঘ নয় মাস ব্যাপক গেরিলা যুদ্ধ ও মিত্রবাহিনির হামলার ফলে, প্রায় ৩০ লক্ষ শহীদ ও কয়েক লক্ষ মা – বোনের সম্ভ্রম এর বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা চুরান্ত বিজয় অর্জন করি।এর পর থেকেই স্বাধীন বাংলার পতাকা গর্বের সাথে আমরা বহন করছি।আর ১৬ ডিসেম্বরকে বিজয় দিবস হিসাবে আমরা পালন করি। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যেগে ২দিন পূর্বথেকেই ব্যাপক আলোকসজ্জা করা হয় বিভিন্ন অফিস আদালতে ও রাস্তায়। সূর্য দয়ের প্রাক্কালে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও,সি মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে বিজয়ের তোপদ্ধনি করা হয়।এর পর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে,কেন্দ্রিয় শহিদ মিনারে জাতির জনকের ছবি রেখে শহীদ মিনার সাজানো হয় এবং শোভাযাত্রা ও পুস্পস্তবক অর্পন শুরু হয়।সকাল ৮ টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে,উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউ,এন,ও কামরুল হাসান সোহেল ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারভিন হক শিকদার পুস্পস্তবক অর্পন করেন।জাজিরা থানার পক্ষে ও,সি মোস্তাফিজ এবং পদ্মা দক্ষিন থানার পক্ষে ও,সি মোস্তাফিজুর রহমান পুস্পমাল্য প্রদান করেন।এছাড়াও মেয়র ইদ্রিস মাদবরের নেতৃত্ব জাজিরা পৌরসভা এবং উপজেলা আওয়ামী সভাপতি মাস্টার জি,এম নুরুল হক এর নেতৃত্বে আওয়ামিলিগ ও শ্রমিকলীগ সভাপতি শেলিম মাদবরের নেতৃত্বে শ্রমিকলিগ এবং মৎসজিবিলীগের শফিকুর রহমান এর নেতৃত্তে মৎসজিবিলীগ পুস্পস্তবক অর্পন করেন। এরপর জাজিরা উপজেলা প্রেসক্লাবের পক্ষে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পুস্পস্তবক প্রদান করেন।এর পরে উপজেলা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ পুস্পস্তবক অর্পন করেন।এর পরে সকাল ৮ টা পর্যন্ত সাধারন জনতা পুস্পমাল্য প্রদান করেন। অপরদিকে মুক্তিযোদ্ধারা সকাল ৭.৩০ মিনিটে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে শেখ মুজিবুর রহমানের মোড়ালের সামনে পুস্পস্তবক অর্পন করেন। পরে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি ইকবাল হোসেন মাসুদ ও সাধারন সম্পাদক রতন মাদবরের নেতৃত্বে সকল মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা পুস্পস্তবক প্রদান করেন। সকাল ৮.৩০ হতে জাজিরা সরকারি মোহর আলি মডেল হাইস্কুলের মাঠে শুরু হয় কুচকাওয়াজ, শারীরিক কসরত আয়োজন। ইউ,এন,ও কামরুল হাসান সোহেলের সভাপতিত্বে ও এসিল্যান্ড উন্মে হাবিবা ফারজানার সঞ্চালনায় অনুসঠানের শুরু হয়। পবিত্র কোরান থেকে তেলোয়াত ও ত্রিপিঠক পাঠের মাধ্যমে ধর্মিয় পাঠ শেষ হলে।উপজেলা চেয়ারম্যান মোবারক আলী শিকদার,উপজেলা মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে তাজুল ইসলাম খান, ইউ,এন,ও কামরুল হাসান সোহেল,ও জাজিরা উপজেলার দুই থানার ওসি মোস্তাফিজ ও মোস্তাফিজুর রহমান মঞ্চে পতাকা উত্তোলন করে।এর সাথে সাথেই বেজে উঠে জাতিয় সংগিত।পরে মাঠ পর্যবেক্ষন শেষে, পরবর্তি কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি প্রদান করেন, উপজেলা চেয়ারম্যান। কুচকাওয়াজে অংশগ্রহন করে, জাজিরা উপজেলা পুলিশ দল,আনসার দল,ফায়ার সার্ভিস, রোবার স্কাউট,স্কাউট,গার্লস স্কাউট ও কাব স্কাউট দল। এর পর শান্তির পায়রা উড়িয়ে ও মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউ,এন,ও এর বক্তব্যের মাধ্যমে প্রথম অধিবেশন শেষ হয়। এর পরপরি শুরু হয় মনোজ্ঞ ডিসপ্লে আর যাতে অংশো গ্রহন করবে জাজিরা উপজেলার সকল স্কুল। বিকালের অধিবেশনে থাকবে সাংস্কৃতিক আয়োজন।