ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগের সমাবেশে সংঘর্ষ। আহত ৩

দেলোয়ার হোসাইন মাহদী
প্রকাশ: ৩ মাস আগে

আজ ১০/৫/২৪ ইং রোজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের বিশেষ কর্মী সমাবেশ চলাকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই সাংগঠনিক সম্পাদকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছে। তারা সবাই মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।

 

ঘটনাটি শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ার সংলগ্ন সমবায় মার্কেটের সামনে ঘটে। আহত ছাত্রলীগ কর্মীরা হলেন- শহরের কাজীপাড়ার সাদাফ (১৫),  নীরব (১৬) ও খন্দকার নূর (১৫)।

তারা সবাই জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক-(১) মহসিন মোল্লার সমর্থক।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে জেলা ছাত্রলীগের বিশেষ কর্মীসভা চলাকালে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক-(১) মো. মহসীন মোল্লার সমর্থকরা সমাবেশ স্থলের পাশে সমবায় মার্কেটের সামনে জড়ো হয়। এসময় অপর সাংগঠনিক সম্পাদক-(২) রহুল আমীন আফ্রিদির সমর্থকরা হঠাৎ করেই মহসিন মোল্লার সমর্থকদের উপর চড়াও হয়। এসময় মহসিন মোল্লার তিন সমর্থককে পিটিয়ে আহত করেন আফ্রিদির সমর্থকরা। পরে আহত অবস্থায় তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

হাসপাতালে অবস্থানরত আহত নীরব ও সাদাফ জানান, পূর্ব থেকেই তাদের সাথে বিরোধ ছিলো। এই বিরোধের জেরে তাদের উপর হামলা করা হয়েছে। তারা বলেন, কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই প্রতিপক্ষ রুহুল আমীন আফ্রিদী’র সমর্থকরা আমাদের উপর হামলা চালায়। আমরা হামলাকারীদের বিচার দাবি করছি।

জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক-১ মো. মহসীন মোল্লা বলেন, আমার অনুসারীদের উপর হামলার ঘটনায় আমি আইনগত পদক্ষেপ নেব।

অপর সাংগঠনিক সম্পাদক-২ রুহুল আমীন আফ্রিদী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমার কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

 

দলীয় একাধিক সূত্রে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা বিশেষ কর্মীসভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন, গণপূর্তমন্ত্রী র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। এছাড়াও সেখানে কেন্দ্রীয় ও জেলা ছাত্রলীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

 

জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফুজ্জামান হিমেল বলেন, আহত তিনজনের মধ্যে খন্দকার নূরের মাথায় পাঁচটি এবং নীরবের মাথায় তিনটি সেলাই লেগেছে। আহত সাদাফের মাথায় সেলাই লাগেনি, তাকে ব্যান্ডেজ দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক সুমন চন্দ্র বণিক জানান, দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হলে দুদিক থেকে পুলিশ এসে তাদেরকে নিবৃত্ত করে। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে উভয় পক্ষের লোকজনই ঘটনাস্থল ত্যাগ করায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগের সমাবেশে সংঘর্ষ। আহত ৩