ভূরুঙ্গামারীতে প্রাণীসম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে ঘুষ ছারা মিলছেনা পশু চিকিৎসা শোকজ খেলেন উপসহকারী কর্মকর্তা

প্রকাশ: ১ বছর আগে

রেখা মনি, নিজস্ব প্রতিবেদক

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে প্রাণীসম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে বিগত দিন থেকে টাকা ছাড়া মিলছে না পশু চিকিৎসা ,এরকমি অভিযোগ ভুক্তভোগীরা দিয়ে আসছে। তারি ধারাবাহিকতায় ৭ মার্চ মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে ভুরুঙ্গামারী প্রাণীসম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে ছাগলের চিকিৎসা নিতে আসে সদর ইউনিয়নের বাগভান্ডার গ্রামের আব্দুস সালাম।আব্দুস সালাম বলেন, একটি ২ মাস বয়সী পাটা ছাগলের বাচ্চা ও তার মাকে নিয়ে যাই পশু হাসপাতালে।হাসপাতালে গিয়ে দেখি আরও দুটি বাচ্চাকে খাসি করাচ্ছে। খাসি করা শেষ হলে তখন ওই দুজনের কাছে টাকা চেয়ে বসে ৩০০- ৪০০ টাকা। পরে একজন ২০০ অন্য জন ৩০০ টাকা দিয়ে চলে যায়।পরে আমার পাটা ছাগলের বাচ্চার মায়ের চিকিৎসা নেওয়ার পর আমি জাহাঙ্গীরকে ১০০ টাকা দিয়ে আমার পাটা বাচ্চাটিও খাসি করতে বলি।জাহাঙ্গীর টাকা নিয়ে আমাকে দিয়ে একটি ব্লেড কিনে আনতে বলে।পরে ব্লেড নিয়ে আসলে আমার ছাগলের বাচ্চাটি খাসি করে দেয়।জাহাঙ্গীর আলম উপরোক্ত হাসপাতালে উপসহকারী পদে কর্মরত।

 

ছাগলের বাচ্চা খাসি করে টাকা নেওয়ার খবর শুনে তাত্ক্ষণিক গণমাধ্যম কর্মী সেখানে উপস্থিত হলে তার সামনেই দুই জনের কাছ থেকে টাকা নেয় ওই কম্পাউন্ডার জাহাঙ্গীর আলম।

 

এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী উপসহকারী জাহাঙ্গীর আলম বলেন ,আমি কাজ করার পর আমাকে মানুষ খুশি করে টাকা দেয়। আরও একজন নাম বলতে অনিচ্ছুক তিনি বলেন ,আমরা বেতন কম পাই এই টাকায় সংসার চলে না তাই কিছুটা এদিকে সেদিক টাকা নেওয়া লাগে।সে সময় সেখানে এগিয়ে আসে ভূরুঙ্গামারীতে প্রাণীসম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে কর্মরত পশু ডাঃ রফিকুল ইসলাম তিনি বলেন ,এই বারের মতো তাকে ক্ষমা করে দিয়ে তাকে সর্তক করে দেন। ওই সময় ঘটনা বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী প্রাণীসম্পদ ও ভেটেরিনারি প্রণী সম্পদ অফিসার ডাঃ শামিমা আক্তার বলেন এ রকম টাকা নেওয়ার নিয়ম নেই ,এদিকে কিছু জিনিস কিনতে হয় তাই হয়তো নেয়। অভাবী সংসার বেতন ভাতা ও কম ! আমি অনেকবার তাদেরকে সতর্ক করে দিয়েছি গালিগালাজও করেছি।

 

পরের ৮ মার্চ প্রাণী সম্পদ অফিসার ডাঃ শামিমা আক্তারের কাছে ফোন করা হলে তিনি বলেন, এর আগেও এরকম করেছিলো বকাঝকা দিয়েছিলাম অনেক।আজ যেহেতু অফিস বন্ধ তাই ৯ তারিখে অফিসে গিয়ে উপসহকারী জাহাঙ্গীর আলমের নামে শোকজ পাঠাবো।

 

 

পরে ৯ মার্চ বৃহস্পতিবার ভূরুঙ্গামারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা উপসহকারী জাহাঙ্গীর আলমকে কৈফিয়ত তলব প্রসঙ্গ করেন যার স্বারক নং -৩৩.০১.৪৯০৬.০০০.০৮.০০১.২০২০.৮৭ সেখানে বলেন, উপযুক্ত বিষয়ে পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে গত সাত দিন ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ তারিখ রোজ মঙ্গলবার দুটি ছাগলের খোঁজা করন সম্পূর্ণ করেন এবং ছাগলের মালিকের নিকট থেকে আর্থিক লেনদেন করেছেন বলে জানতে পেরেছি! কিন্তু অফিসে আগত কোন সেবা গ্রহীতার নিকট থেকে কোন প্রকারের আর্থিক লেনদেন করা যাবে না জেনেও আপনি লেনদেন করেছেন যা সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা বিধির পরিপন্থী। এমতাবস্থায় আপনার বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? এ বিষয়ে আগামী তিন কর্ম দিবসের মধ্যে তার সন্তোষজনক জবাব প্রদানের জন্য বলেছেন।

 

 

 

এ বিষয়ে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ ইউনুস আলী গণমাধ্যম কর্মীকে মুঠো ফোনে বিষয়টি জানতে চাইলে প্রথমে বলেন, আপনাদের তা করার করেন । পরবর্তীতে আবার বলেন ,এ বিষয়ে টাকা নেওয়ার কোনো এক্তিয়ার নেই ,তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।