মানিকগঞ্জে অ্যাসিড নিক্ষেপকারীকে গ্রেফতারসহ সামাজিক সহিংসতা বিরোধী মানববন্ধন

News Editor
প্রকাশ: ১ বছর আগে

নিজস্ব প্রতিবেদক: মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবে আজ বিকেলে প্রথম আলো বন্ধুসভার আয়োজনে শিবালয় বকচর গ্রামের প্রবাসী গৃহবধুকে অ্যাসিড নিক্ষেপে গ্রেপতারসহ সামাজিক সহিংসতা বিরোধী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে প্রথম আলো বন্ধুসভার সভাপতি মো.চান মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো.আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুজন সুশাসনের জন্য নাগরিক মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস। আলোচনায় আরো অংশগ্রহণ করেন সংগঠনের সহসভাপতি মো.নজরুল ইসলাম, সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো.আশিকুর রহমান, তামান্না ইসলাম প্রমুখ। উল্লেখ্য যে- মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় গৃহবধূকে অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনায় হওয়া মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে গত শুক্রবার দুপুরে উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়নের বকচর গ্রামেও মানববন্ধন হয়। এ ঘটনায় হওয়া মামলার আসামি হলেন মহাদেবপুর ইউনিয়নের বকচর গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিক মিয়া (৩৪)। আর অ্যাসিড-সন্ত্রাসের শিকার হলেন একই ইউনিয়নের কেশবপট্টি গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে জহুরা বেগম। জহুরার স্বামী কলিম মালয়েশিয়া প্রবাসী। মামলার এজাহার, গৃহবধূর স্বজন ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী সিদ্দিক মিয়া (৩৪) জহুরা বেগমকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। জহুরা তাঁকে পাত্তা না দেওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ হন। গত ২৯ মার্চ রাত সাড়ে আটটার দিকে জহুরার শ্বশুরবাড়িতে প্রবেশ করে তাঁকে অ্যাসিড নিক্ষেপ করেন সিদ্দিক। এরপর দ্রুত বাড়ি থেকে সটকে পড়েন। অ্যাসিডে জহুরার মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান ঝলসে যায়। তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। এরপর স্বজনেরা জহুরাকে সেখানে ভর্তি করেন। এখনো তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় পরদিন জহুরার বাবা মো. শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে সিদ্দিক মিয়াকে আসামি করে শিবালয় থানায় একটি মামলা করেন। আসামি সিদ্দিক মিয়াকে গ্রেপ্তারের দাবিতে হওয়া মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মহাদেবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাজাহান, জহুরার বাবা শহিদুল ইসলাম, মা রাশিয়া বেগম, শাশুড়ি কমলা বেগম, স্থানীয় সমাজসেবক ফজলুল হক, আসলাম উদ্দিন, রতন কুমার দে প্রমুখ। জহুরার বাবা শহিদুল ইসলাম বলেন, এক সপ্তাহ পার হলেও এখন পর্যন্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। উল্টো মামলা তুলে নিতে আসামির স্বজনেরা তাঁদের একধরনের চাপ সৃষ্টি করে আসছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিকে গ্রেপ্তার এবং তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান তিনি। শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ নুর এ আলম প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে ওসি জানান। আজকের কর্মসূচিতেও আসামিকে দ্রুত গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।