মানিকগঞ্জে দলিত শিক্ষার্থীদের চিত্রাঙ্কন প্রদর্শনীতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার সংরক্ষণসহ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি

প্রকাশ: ১ বছর আগে

মো.নজরুল ইসলামঃ মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

(১৩-৪-২০২৩) “দলিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার সংরক্ষণ করি,বহুত্ববাদী সমাজ গড়ি” আজ মানিকগঞ্জ জেলা ক্রিড়া সংস্থা মিলনায়তন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মানিকগঞ্জ জেলা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার ফোরাম ও বারসিক এর যৌথ আয়োজনে দলিত শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল চিত্রাঙ্কন প্রদর্শনী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার সংরক্ষণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় সংগঠনের সহসভাপতি দশরথ রবি দাসের সভাপতিত্বে ও বারসিক আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল চন্দ্র রায়ের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মানিকগঞ্জের মান্যবর অতিক্ত জেলা প্রশাসক জনাব সানোয়ারুল হক। চিত্রাঙ্কন প্রদর্শনীর উদ্ভোদন ঘোষণা করেন দেশের খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী শিবেন চক্রবর্তী। বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জেলা মানবাধিকার ফোরামের সভাপতি এ্যাডভোকেট দীপক কুমার ঘোষ, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী প্রফেসর উর্মিলা রায়,বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ নান্নু,নারীনেত্রী বিলকিস রেজা পরাগ, মানিকগঞ্জ এজি চার্চের সমন্বয়কারি রেভারেন্ড এডওয়ার্ড এস জামান, উন্নয়নকর্মী মো.নজরুল ইসলাম, কমল চন্দ্র দত্ত,রাশেদা আক্তার,সামায়েল হাসদা,ইয়ুথ গ্রীণ ক্লাবের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান হদয়, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুচরন সরকার, সহসভাপতি নিত্য সরকার,দলিত ছাত্র কল্যান পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক বিশ্বজিৎ দাস,দিলিপ দাস,রাজকুমার মুনিদাস,রাম গোপাল রাজবংশী,অর্পন রাজবংশী,দেবীপ্রসাদ দাস প্রমুখ। বক্তারা বলেন দলিতমথিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়ন তথা উন্নয়নের মূলধারায় প্রবেশ করতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। আমরা সরকারকে সাধুবাদ জানাই এবং আমাদের আরও কিছু দাবির মধ্যে হলো দলিত শিক্ষার্থীদের বিশেষ বৃত্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা,শিক্ষার্থীদের বিশেষ চিত্তবিনোদনের জন্য নিজস্ব ভাষা সংস্কৃতি সংরক্ষণ করতে হবে, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে রবি দাস, মুনিদাস,লৌহকার,চর্মকারসহ দলিত জনগোষ্ঠীর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চাই, চাকরিতে কোটা চাই, খাসজমি লিজে নয় স্থায়ী বন্দবস্ত চাই,পৌর নাগরিক সুবিধাসহ সরকারি সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তিতে তাদেরকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। তাদের দাবি বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক শোষণ মুক্ত বহুত্ববাদী সমাজ বিনির্মানের পথ সুগম হবে। উপরোক্ত বক্তব্য ছাড়াও দলিত জনগোষ্ঠীর অন্যান্য অধিকার ভিত্তিক দাবি সম্বলিত স্মারক লিপি জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানো হয়।