মোল্লাহাটে টাকা হলেই জমির মিউটেশন দেন ডাঃ হৃদয় কুমার

প্রকাশ: ১ বছর আগে

মোল্লাহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে টাকা হলেই জমির মিউটেশন বা ভূমি অফিসের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করে দেন হৃদয় কুমার চৌধুরী ওরফে ডাঃ হৃদয় ওরফে থেরাপি ডাঃ হৃদয়। ভূমি মালিকের কোন প্রকার ভূমি অফিসে যাওয়া বা যোগাযোগের প্রয়োজনও না কি হয়না ? কাজ বা সমাস্যা ছোট-বড় অনুযায়ী সর্বনিম্ন ১০ থেকে ৩৫ হাজার বা ততোধিক টাকার বিনিময়ে সব করেন তিনি। চুক্তি অনুযায়ী কাজ না হলে সামান্য কিছু কর্তন করে টাকা ফেরৎ দেয়ার নজিরও আছে তার। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার সাথে তার না কি রয়েছে সম্পর্ক ? উপজেলার বারুইগাতী গ্রামের মৃত বিলাস কুমার চৌধুরীর ছেলে হৃদয় কুমার চৌধুরী সম্পর্কে এমনি তথ্য পাওয়া গেছে। উপজেলা ভূমি অফিস সংলগ্ন মোল্লাহাট কেআর কলেজের দেয়ালের বিপরীতে নিজস্ব চেম্বার খুলে দীর্ঘদিন ধরে এ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন হৃদয় কুমার। উপজেলার দেড়বোয়ালিয়া এলাকার জনৈক আমানত জানান, তার জমি মিউটেশন করতে ডাঃ হৃদয় ‘কে মোট ১২ হাজার টাকা দিয়েছেন, কোন প্রকার অফিসে না গিয়ে যথারীতি মিউটেশন পেয়েছেন তিনি। এরপর হেলেনা বেগম নামে এক মহিলা জমির মিউটেশন করানোর জন্য আমানতের কাছে আসেন। আমানত ওই মহিলাকে ডাঃ হৃদয়ের কাছে নিয়ে যান। ওই মহিলার কাগজপত্র সঠিক না থাকায় তার থেকে ৩৫ হাজার টাকা নেন ডাঃ হৃদয়। এরপর ওই জমির আসল মালিক পক্ষ বিষয়টি জানার পর ডাঃ হৃদয়ের গোপন মিশন/কৌশল ভেস্তে যায়। এরপর হেলেনা তার টাকা অনেক বার ফেরত চেয়েছেন বলেও জানান আমানত। অবশ্য এ প্রতিবেদকের সামনে আমানত মোবাইলে জিজ্ঞেস করলে হেলেনা বেগম জানান তিনি টাকা ফেরৎ পেয়েছেন। হৃদয় কুমার চৌধুরী ওরফে ডাঃ হৃদয় ওরফে থেরাপি ডাঃ হৃদয়ের চেম্বারে গেলে তিনি বলেন, তিনি কোন প্রকার দালালি করেন না, কেবলমাত্র মানুষের উপকারে অনলাইনে আবেদন করেন, এতে মাত্র ৫’শ টাকা নেন, অন্য কোনো কাজ বা টাকাও নেন না। এছাড়া ইউএনও এবং এসিল্যান্ড জানেন এবং তাকে চিনেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। অবশেষে আমানতের কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা ও হেলেনা বেগমের থেকে টাকা নেয়া ও ফেরৎ দেয়ার তথ্য আছে এবং অস্বীকার কেন করছেন ? এমন প্রশ্নের জবাবে ক্ষিপ্তকন্ঠে ডাঃ হৃদয় বলেন, টাকা নিয়েছেন কাজ করেছেন, আর মহিলার কাজ হয় নাই, টাকা ফেরৎ দেয়া হয়েছে এতে কি হবে ? তার এক ভাইরা (আত্মীয়) সচিব আছে এবং তাকে জানাবেন বলেও দাম্ভিকতা প্রকাশ করেন হৃদয় কুমার। উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম বলেন, ওই ব্যক্তিকে তিনি চিনেন না। খোঁজখবর নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান তিনি।