যত্রতত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠায় শিক্ষার মান বিনস্ট হচ্ছে

প্রকাশ: ১ বছর আগে

সানজিদ মাহমুদ সুজন,জেলা প্রতিনিধি শরীয়তপুর :

সমস্ত বাংলাদেশের ন্যায় শরীয়তপুরের জাজিরাতেও শিক্ষাকে পন্য হিসাবে পূজি করে কতিপয় ব্যাবসায়িরা আজ নতুন নতুন,চমকপ্রদ সাইনবোর্ড দিয়ে শিক্ষাকে পন্য বানিয়ে প্রতিসঠান খুলে কোটি টাকার ব্যাবসা করে নিচ্ছে। কিন্তু বিনিময়ে আমাদের আগামি প্রজন্মকে সঠিক পাঠদান ও শিক্ষা না দিতে পারার কারনেই আজ তৈরী হচ্ছে বৃদ্ধাশ্রম,আর শিক্ষিত দূর্নিতীপরায়ন মানুষ। বর্তমান সময়ে শিক্ষা কারিকুলাম এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে,যেখানে ট্রেনিং পেয়েও শিক্ষকরা সঠিক ভাবে পাঠদান করাতে পারছেনা। ট্রেনিং বিহীন সল্পশিক্ষিত শিক্ষকরা,প্রাইভেট স্কুলে কিভাবে পাঠদান করাবে? আর তারা কিভাবে সঠিক শিক্ষার মাধ্যমে জাতি গড়বে বলে আমরা আশা করি? মানুষের মৌলিক চাহিদা ৫টি আমরা সবাই জানি অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান,শিক্ষা,চিকিৎসা। আর এর মধ্যে একটি ধংস হলে ,জাতি তথা দেশ বিলুপ্ত হবে, এটা নিশ্চিত। বিকলাঙ্গ মানুষ আর মৌলিক চাহিদাকে পূজিকরে ব্যাবসা করা জাতি, একই ধরনের বিকলাঙ্গ সমতুল্য। সাম্প্রতিক আমাদের দেশে বিভিন্ন অনৈতিক, অনিয়ম, দুর্নীতি, প্রশ্নফাঁস, ঘুষ, জালিয়াতি এমনকি ধর্ষণের মতো স্পর্শকাতর কর্মকাণ্ডেও শিক্ষকদের সম্পৃক্ততা বরাবরই লক্ষণীয়।কারন শিক্ষক নিয়োগে স্বজনপ্রীতি। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষাপর্যায়ে বেসরকারি ক্ষেত্রে পূর্বে যে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে তা স্বজনপ্রীতি, রাজনৈতিক এবং উৎকোচ গ্রহণের মাধ্যমে হয়েছে বলে শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে এদের মধ্যে বিভক্তি রয়েছে। এতো সকল অনিয়ম-দুর্নীতির খবর থাকার পরেও, রুখতে না পারার কারন, শিক্ষা বিভাগে সঠিক নির্দেশনা না থাকা,আর আইনের প্রয়োগ না হওয়া।যে কারনে দেশের অলিতে গলিতে গড়ে উঠছে সাইনবোর্ড সদৃশ্য কিন্ডার গার্টেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক প্রাইভেট স্কুল,কলেজ। সরকারের সবার জন্য শিক্ষা উন্মুক্ত করার ঘোসনার সূযোগে, সুযোগ সন্ধানি মানুষরুপি পশুগন্য শিক্ষা ব্যাবসায়িরা,নিতি,নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে শিক্ষানিয়ে ব্যাবসা করছেন।আর আইনের নির্দেশনার দূর্বলতা থাকায় তা বন্ধ করতে সক্ষম নয়,প্রাথমিক,মাধ্যমিক,উচ্চ মাধ্যমিক সরকারি শিক্ষা অফিসগুলো। শিক্ষা নিতীমালা ও স্কুল প্রতিসঠার নিয়মাবলি জানতে,জাজিরা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে গিয়েও, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস্যারকে এক সপ্তাহেও পাওয়া যায়নি। তবে তার সহকারী শিক্ষা অফিস্যার খায়রুল ইসলাম বেশ কয়েকদিন অফিসে যাওয়ার কারন জানতে পেরে বলেন, জাজিরা উপজেলায় ৩৫টি মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে, যে স্কুল তাদের থেকে বই সংগ্রহ করে।এর মধ্যে ১টি সরকারি ৩টি নিম্নমাধ্যমিক প্রাথমিক স্কুলের সাথে থাকায় ঐগুলিও সরকারি। এছারা আরো ১৮ টি আধা-সরকারি ও পাঠদানের অনুমতি প্রাপ্ত।এছারা বেশ কয়েকটি স্কুল পাঠদানের অনুমতি না থাকলেও চলছে।যেহেতু স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার মতো তাদের কোন দিক নির্দেশনা নেই তাই তারা এগুলোর বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা গ্রহন করতে পারছেনা।তিনি আরো বলেন আমরা গত ডিসেম্বর মাস সহ এ বছরের জানুয়ারি মাসে, ইনডেক্সধারি শিক্ষকদের পাঠদানে ট্রেনিং করিয়েছি।যারা পাঠদান না শিখেছে তারা ছাত্র ছাত্রীদের সঠিকভাবে কখনোই পাঠদান করাতে পারবে না।তিনি এসকল বিষয়ে ছেলেমেয়ের ভবিষ্যত সঠিক ভাবে গড়তে, অভিভাবকদের সচেতন হবার পরামর্শ দেন। প্রশ্ন থেকেই যায়,এই ধরনের কর্মকান্ডের শেষ কোথায়? আর এভাবেই কি পূজিবাদি মনোবৃত্তির কারনে ধংস হবে আমাদের ভ্রাতৃত্ববোধ সম্পন্ন জাতি। তবে এই সরকারের আমলে আমরা খুবই আশাবাদী মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শিক্ষাবান্ধব সরকার বর্তমানে ক্ষমতাসীন এবং আগামীতে সে ধারা অব্যাহত থাকবে। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যার হস্তক্ষেপে বন্ধ হবে এই সকল ব্যাবসায়ি শিক্ষা স্কুল ও শিক্ষক নামধারি অযোগ্য শিক্ষক সহ,সকল সমস্যার সমাধান হবে-এমনটাই আশা করেন সাধারন মানুষ।