সানজিদ মাহমুদ সুজন,নিজস্ব প্রতিবেদক শরীয়তপুর :
জেলার,জাজিরা উপজেলার, জাজিরা পৌরসভার অন্তরগত,কাজির হাট বন্দরের পাশে আবদূর রাজ্জাক উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষক আলি হোসেন কাজি কতৃক,অসহায় মনছুর মৃধার ঘড় ভেংগে জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সূত্র মতে দীর্ঘ ৩ বছর যাবৎ আবদুর রাজ্জাক উচ্চ বিদ্যালয় কতৃপক্ষের সাথে, মনছুর মৃধার এ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো।স্কুল কতৃপক্ষের দাবি জমিটি স্কুলের কেনা সম্পত্তি আর মোনছের মৃধার দাবি এটা তার কেনা সম্পত্তি ও বাড়ি নির্মান করে এখানে দির্ঘদিন যাবৎ বসবাস করছেন। এ নিয়ে উভয়পক্ষের সাথে শরীয়তপুর চিকন্দি আদালতে দেওয়ানি মামলা ২৫৭/২০১৯ চলাকালীন শুনানি শেষে গত ০৯/০৫/২০২৩ তারিখে উচ্চ আদালতে মামলা সাপেক্ষে,উচ্চ আদলত হতে ইনজাংশন জারী করা হয়। তার পরেও ১৩ই মে আবদুর রাজ্জাক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক,শরীয়তপুর ১ আসনের এমপি ইকবাল হোসেন অপুর মাধ্যমে ২০ তারিখ উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা সাপেক্ষে,শালিশির তারিখ নির্ধারন করে দেন। ১৯ তারিখ রাতে মনছুর মৃধা অসুস্থ হয়ে পরলে তার ছেলে বিষয়টি জাজিরা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমানকে অবহিত করেন,পরে পুলিশ গিয়ে রাতে মনছুর মৃধার সাথে কথা বলে আসলে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।কিন্তু পরের দিন স্কুল কতৃপক্ষের সমস্ত শালিস উপস্থিত হলে, সেখানে রাতের বিষয়টি অবগত করতে,জাজিরা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জান,এবং সাংবাদিকরাও উপস্থিত হন। উক্ত শালিশী সভায় আরো উপস্থিত হয়েছিলেন জাজিরা উপজেলা আওয়ামিলীগ সভাপতি জিএম নুরুল হক,সহ সভাপতি ইব্রাহিম মাস্টার, শ্রমিকলীগ সভাপতি শেলিম মাদবর,প্রাক্তন উপজেলা চেয়ারম্যান,জনতার পৌরমেয়র ইদ্রিস মাদবর সহ কয়েকজন কাউন্সিলর ও আরো গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ সহ স্কুলের শিক্ষক গন।এ সময় সভায় আমিন দিয়ে জমি মেপে দেখার কথা আলোচনা করা হয় ও পরে পরবর্তী তারিখ দিয়ে সকলের উপস্থিতিতে মূল মালিকের মাধ্যম বিবেচনায় বন্টনের একটা কথা হয়।পরে উপস্থিত সাংবাদিক চলে আসে। মনছুর মৃধার পরিবারের অভিযোগানুসারে বেলা ২টায় সকলে দুপুরের আয়োজনের খাবার খেয়ে চলে আসলে, আলি হোসেন মাস্টার, রোস্তম ব্যাপারি,মোবারক মোল্লা সহ কয়েকজন নিজেরাই জমি মাপা শুরু করেন।একপর্যায়ে তারা ও অন্য লোকজন মনছুর মৃধার একটি ঘর ভেংগে ফেলেন। বাধা দিতে আসায় মনছুর মৃধার স্ত্রী,৩ মেয়ে, যাদের মধ্যে একজন গর্ভবতী নারীও রয়েছেন,এদের গায়ে হাত তোলেন।এসময় তারা থানায় ফোন দেন ও স্থানিয় আরো কয়েকজন থানায় ফোন দিলে, পুলিশ এসে উপস্থিত হন,ততক্ষনে একটি ঘর ভেংগে সবাই চলে যান।এ সময় আহত সকলকে চিকিৎসার জন্য শরীয়তপুরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ বিষয়ে আবদুর রাজ্জাক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আলি হোসেন কাজিকে মুঠোফোন জিজ্ঞেসা করা হলে তিনি বলেন, তিনি ঐ সময় স্কুলে ছিলেন না।কে বা কারা জমি মেপেছে তাও তিনি জানেন না।তবে স্কুল বিল্ডিং নির্মানে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। জাজিরা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,হাইকোর্ট হতে কোন ধরনের ইনজাংশনের কাগজ তিনি পাননি।আর ঘর ভাংগার কথা শুনে তিনি তাৎক্ষনিক পুলিশ প্রেরন করেন।এ ব্যাপারে যদি কেউ মামলা করতে আসেন তিনি মামলা গ্রহন করবেন।