রাসেল রানা জামালপুর
জামালপুর ৬ নং ইউনিয়নের এর বাসিন্দা, মোছা: বেদেনা বেগম(৪২) দীর্ঘ সাত বছর ধরে,
মো: লিংকন খান (৩৮) পিতা মৃত মো: আমির হামজা খান।
এর কাছে টাকা পায়। ভুক্তভোগী মোছা: বেদনার বেগম জানাই, ৭ বছর ধরে টাকা পাই। আমার ছেলেকে বিদেশ নিবে বললে, আমার কাছ থেকে ২ লাক্ষ ২২ হাজার টাকা নেয়, কিন্তু আমার ছেলেকে সে বিদেশ নিয়ে যেতে পারে নাই।
তারপর থেকেই টাকা চাইলে দিবে দিচ্ছি বলে বলে প্রায়ই ৪ বছর পার করে দেই।
টাকার জন্য আমি বহুবার তার বাড়িতে গিয়েছি, কিন্তু সে তখন নানা রকম সমস্যা দেখিয়ে আমাকে তাড়িয়ে দিয়েছে, অনেক সময় হুমকি দিয়েছে, কোন টাকা দিতে পারবোনা, টাকা চাইলে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে।
একদিন তার বাজারের মুরগির দোকানে গেলে সে আমাকে মুরগি জবাই করে চাকু নিয়ে, আমাকে অতর্কিতভাবে হামলা করে।
এতে করে আমার নাকে মুখে কেটে যায়।
তখন আমি সাথে সাথেই নরুন্দি তদন্ত কেন্দ্রে অফিসার ইনচার্জ এর শরণাপন্ন হয়। নরুন্দি তদন্ত কেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ আমাকে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করার দায়ের করার জন্য বলে, তখন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, আমাকে ফোন দিয়ে বলে মামলা করার প্রয়োজন নেই, হয়েছে তা ভুল হয়েছে,
তারপর তাদের কথা মোতাবেক আমি চলে যাই, আমার বাড়ীতে, তারপর দিন লিংকন কে ফোন দিয়ে আমার বাড়িতে ডাকি,
সে বাড়িতে এসে আমাকে নানা রকম অজুহাত দেখায়, এবং সে আরো বলে আপনি আমার জমি বন্ধক নেন।
তারপর আমি তার সেই কথাই রাজি হয়ে, একটি বন্ধক নামা দলিল করি। ২ লাক্ষ ২২ হাজার টাকার দলিল করা হয়।দলিল লেখক মো: নাজিম উদ্দিন বন্ধক নামা দলিল লেখে দেই। তারপর সে ইরি এবং আমন এর ফসল দেয় আমাকে ধান দেয়।
তারপর থেকে শুরু হয় আবার তাল বাহানা, তারপর থেকে সে আর কখন কোন ফসল আমাকে দেয় না।ফসল চাইতে গেলে নানারকম হুমকি-ধামকি দেয়, সে বলে কোন কিছু বা টাকা কিছু দিতে পারব না,যা মন চায় তাই করিস, এবং সে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে, এক পর্যায়ে এসে আমি নরুন্দি ইউনিয়ন এ গ্রাম আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করি।
অভিযোগ দায়ের করার পর তাকে গ্রাম্য আদালত থেকে কয়েকবার নোটিশ পাঠানো হয়, সে আসে না, এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান আলহাজ্ব লুৎফর রহমান লিংকন খান কে ফোন দিয়ে ডেকে আনে। ডেকে এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তখন সে টাকার কথা স্বীকার করে,এবং বলে হ্যাঁ আমি টাকা নিয়েছে এবং টাকাটা দিয়ে দিবো। এবং সে আরো বলে আমি দলিল করে দিয়েছি। আমি ২ সিজন ধান ও দিয়েছি।
তখন চেয়ারম্যান বললে তাহলে এখন তুমি টাকাটা দিয়ে দাও।
তখন লিংকন খান বললে আমাকে কিছু দিন সময় দেয়া হোক,
তখন আমি তাকে সময় দিলাম,
কিন্তু সে আবার তালবাহানা শুরু করে, আজ না কাল কাল না পরশু এভাবে চলতে থাকে প্রায় এক বছর।
চেয়ারম্যান আলহাজ্ব লুৎফর রহমান তাকে আবার ফোন দিয়ে ডেকে আনে, সেখানে উপস্থিত ছিলেন,
(১)ইউপি সদস্য মো: শাহিনুর ইসলাম শাকিল
(২) ইউপি সদস্য মো:আব্দুল খালেক
(৩) ইউপি সদস্য : মো: আকাশ হোসেন হিরা
(৪)ইউপি সদস্য : মো: খলিলুর রহমান।
(৫) কেরানি মো: নুরুল ইসলাম
(৬)মো: ফরহাদ আলী
(৭)সাংবাদিক : মো: রাসেল রানা
আরো অনেকই
তখন সবার সামনে লিংকন বলে আমি আগামী ২১’ ০৭’২২২২ইং তারিখে টাকা দিয়ে দিবো।
ইউপি চেয়ারম্যান এবং সকল সাক্ষীগণের সম্মতিক্রমে , প্রত্যয়ন পত্রে লিংকন খান, স্বহস্তে লিখিত দিয়ে যায়। যে আমি আগামি ২১’০৭’২০২২ ইং তারিখে টাকা টা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় এসে দিয়ে যাবো।
কিন্তু গত ২১’০৭’২০২২ ইং তারিখে ফোন দিলে ফোন ধরে না, এবং এক পর্যায়ে তার বাড়িতে গেলে আবারও সে হত্যার হুমকি দেয়, বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানালে, চেয়ারম্যান তৎক্ষণাৎ লিংকন খানকে ফোন দিলে ফোন রিসিভ করে না। তার পর দিন ফোন দিলে ফোন রিভিস করে বললে টাকা টা আমি এখনো পাইনাই, ২/৩ দিন এর মধ্যে দিয়া দিবো,
তখন চেয়ারম্যান তার চাচা ৬ নং নরুন্দি আওয়ামী লীগের শ্রমিক লীগের সভাপতি মো: আব্দুল জলিল কে টাকার দায়িত্ব টা দেয়, তখন আমি জলিল এর সাথে কথা বলি, জলিল আমাকে ডেকে নিয়ে বললে যে তুমরা চিন্তা করো না, টাকা টা আমি নিয়া দিতাছি, এই বললে আরো ১৫/২০ দিন পার করে দেয়।।।
এক পর্যায়ে এসে ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: লুৎফুর রহমান আমাকে অভিযোগের প্রত্যয়নপত্র টা দেয়
তার পর আমি জামালপুর সদর থানায় শরণাপন্ন হইয়া অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ দায়ের করি
তার পর নরুন্দি তদন্ত কেন্দ্রের এস আই তারিকুজ্জামান অভিযোগ হাতে পেয়ে তাহার বাড়ীতে গেলে লিংকন এর মা বললে আমার ছেলে টাকা দিয়া দিবে কোন জামেলার দরকার নাই।
তার পর লিংকন খান নরুন্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এর সুযোগ্য সভাপতি মো: নাজমুল হক এর কাছে থেকে আবার ১ মাস সময় নেয়।আবার এক মাস চলে গেলে আরো ১ মাস সময় চায় এই ভাবে প্রায় ৩ মাস চলে যায়
এক পর্যায়ে আমি নাজমুল সাহেব এর কাছে গেলে। একটা তারিখ দিয়া দেয় ঐ তারিখে নরুন্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে একটা সালিশ হয়,
সালিশে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, এবং ইউনিয়ন লীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক ভট্টুর নেতৃত্বে সালিশে পাওনা টাকা গুলো দেওয়ার কথা থাকে, কিন্তু টাকা মিল করতে না পেরে, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে থেকে ১ মাসের সময় নিয়ে ১.০১.২০২৩ ইং তারিখে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক ভট্টুর কাছে টাকা গুলো দেওয়ার কথা থাকে কিন্তু লিংকন খান তাদের সালিশ অমান্য করে। টাকা দেয় না। এবং ফোন দিলে ফোন রিসিভ করে না।