জামাল খান জেলা প্রতিনিধি:
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাসাননগর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের হাকিমুদ্দিন লঞ্চঘাট সংলগ্ন মেঘনা নদী রক্ষাবাঁধ প্রকল্পের ৬-৭ এর প্যাকেজ সংলগ্ন হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের ব্লোকসহ মাটি বিক্রি করেছে একটি চক্র। চক্রের সদস্যরা হলেন হাসাননগর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম, বর্তমান ইউপি সদস্য ফিরোজ, স্থানীয় সোহেল ও লিটন।
তারা দির্ঘদিন যাবত মেঘনা রক্ষা বাঁধ এর প্রকল্পের ব্লোকসহ মাটি বিক্রি করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় টবগী ৪ নং ওয়ার্ডের নসু মিয়া হাওলাদার বাড়ীর কাজল ও মিন্টুর কাছে ২৪ ট্রাক মাটিসহ প্রকল্পের ব্লোক বিক্রি করেন। এতে ওই মাটির সাথে ১৩ টি ব্লোক ক্রেতার বাড়িতে দেখা গেছে। বুধবার সকাল থেকে দিনভর ওই ব্লোকসহ মাটি বিক্রি করেন ওই চক্রটি।
এতে সরকারের মেঘনা নদী রক্ষা বাঁধের ব্লোক কাজের হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হুমকির মুখে রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, মেঘনা নদী রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের সংলগ্ন
মাটিও ব্লক দীর্ঘদিন যাবৎ বিক্রি করে আসছে ওই চক্রটি। সরকারের হাজার কুটি টাকার প্রকল্প হুমকির মুখে রেখে মাটি ও ব্লোক বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা।
ব্লোক ও মাটি ক্রয়কারী কাজল জানান, বন্দর বাড়ীর ফিরোজ মেম্বার ও সোহেলসহ উল্লেখিত দের কাছ থেকে ২৪ ট্রাক মাটি ক্রয় করি। মাটির মধ্যে ১৩ টি ব্লোক দেখা যায়। মেঘনা রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের ব্লোক এগুলো। নদীর পাড় থেকে মাটি গুলো বিক্রি করেছে তারা। তাই মাটির সাথে ব্লোক চলে আসছে। প্রতি ট্রাক মাটি ও ব্লোক ১২ শত টাকা দিয়ে ক্রয় করি। মোট ২৪ ট্রাক মাটি ক্রয় করেছি ৩০ হাজার টাকায়। অন্যদিকে মাটি ও ব্লোক বিক্রেতা ফিরোজ মেম্বারের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেনি। ব্লক কাজের প্রকল্পের ৬-৭ নং প্যাকেজ এর ম্যানেজার ফারুক জানান, স্থানীয় ফিরোজ মেম্বার, নজরুল মেম্বার, লিটন ও সোহেলসহ কয়েক জন মিলে মাটি বিক্রি করেছে। মাটির সাথে প্রকল্পের ব্লোক চলে যেতে পারে। তবে মাটি ও রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের ব্লোক বিক্রি করা অপরাধ।
বোরহানউদ্দিন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যসহকারী তুষার কান্তি দে জানান, মাটি নিয়ে যেতে দেখেছি। সেখানে মাটিরসাথে ব্লোক যেতে পারে তবে মাটি ও ব্লোক কারা নিয়েছে সেটা জানিনা।
বোরহানউদ্দিন পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও হুমায়ন কবির জানান, মাটির সাথে যাওয়া ব্লোক আমরা নিয়ে আসব।