নিউজ ডেক্সঃ
বাংলাদেশের ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার গালিমপুরের প্রতাপশালী জমিদার অমবিকা চরণ রায় ছিলেন আমার মায়ের ঠাকুর’দা……
আমাদের পরিবার কতোটা অবস্থাসম্পন্ন ছিল তার ছোট্ট একটি নমুনা তুলে ধরছি।দেশভাগের আগেই ১৯৪৬ সালে আমার দাদু রমনীমোহন রায় প্রয়াত হন ১৯৫০ সালের কিছু আগে বা পরে আমার দিদিমা নগেন বালা রায় ভারতে চলে আসেন এরপর ১৯৫৫ থেকে ৬১ সাল পর্যন্ত নবাবগঞ্জের গালিমপুরের ভূসম্পত্তি ও ঢাকার আর্মানিটোলার বাড়ি থেকে বাৎসরিক আয়ের অর্থ আদায় করতে প্রতিবছর প্লেনে বাংলাদেশে যেতেন।যতদুর শুনেছি প্রায় ৯০০ বিঘা জমির মালিকানা ছিলো দিদিমা’র পরিবারের।
আমার মা স্বর্গগত শেফালী রায় ডাক নাম ছিল রানী ২০১৪ সালে মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতিটা সময় দেশের বাড়ির কথা বলতেন।মায়ের মনে একটা অতৃপ্ত বাসনা ছিল, দেশের বাড়িটা’কে শেষ বারের মতো ছুঁয়ে দেখার, কিন্তু মায়ের সেই সুযোগ আর হয়নি।আসলে বাংলাদেশে মায়ের অনেক স্মৃতি,১৯৪৮ সালে মায়ের বিয়ে হয়েছিল ঢাকা শহরের আর্মানিটোলার বাড়িতে দাদুরা ভারতে চলে আসলে জাহাজের একজন সারেং সেই বাড়িটা দখলে নেয়া।মায়ের পড়াশোনা ঢাকায়।
নবাবগঞ্জের গালিমপুরের আমাদের বাড়িতে অনেক মুসলিম কাজ করতো।মা বলতেন ঝরু ভাই নামে একজন মুসলিম ভদ্রলোক ওনাকে ভীষণ স্নেহ করতেন।যখন দাঙ্গা হয়েছিল তখন এই মুসলিম ভদ্রলোক প্রাণ বাঁচাতে সাহায্য করেছিল।
শুনেছি ঢাকার আরমানিটোলায় আমাদের বাড়ির গেটের মাথার উপর দুপাশে সিংহ মূর্তি ছিল।আর একটি তথ্য,মা যে স্কুল এ পড়তেন ওখানে বিখ্যাত গায়িকা উৎপলা সেন পড়তেন।মায়েদের বাড়িটা ছিল দুই তলা বড় দোমহলা।আর ঢাকার নবাবগঞ্জের গালিমপুরের বাড়িটিও ছিল বিরাট সেখানে নাটমন্দির ছিল পুরো নবাবগঞ্জে গালিমপুরের আমাদের রায় বাড়ির দূর্গাপূজার নাম ছিল।১৯৬১ সালে অব্দি দূর্গা পূজা হতো।
আমার বয়স এখন ৭৪, জানিনা কতদিন আর বাঁচবো ভীষণ ইচ্ছে মায়ের জন্মভূমি ছুঁয়ে দেখার।আমার মেয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র।আমাদের মা ও মেয়ের দুজনের ইচ্ছে গালিমপুর ও ঢাকার আরমানিটোলায় পূর্বপুরুষের জন্মভিটা ছুঁয়ে দেখার।
তাই আপনাদের একান্ত সাহায্য চাইছি।