সানজিদ মাহমুদ সুজন,নিজস্ব প্রতিবেদক শরীয়তপুর : শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দূর্নীতি ও ডাঃ অনুপস্থিতি নিয়ে একাধিকবার দৈনিক অভিযোগ বার্তা সহ বেশ কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও দৈনিক জবাবদিহি পত্রিকায় সংবাদ প্রচার করা হলেও, জাজিরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবার মানের তেমনকোন পরিবর্তন আসেনি।তবে চাকুরী টিকেয়ে রাখতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন ডাঃ শায়লা নাজনিন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় বেশ রাগান্বিত ও ক্ষমতার প্রকাশ করতে তার স্বামি ডিফেন্সে আছে, তার বিরুদ্ধে লিখে ও ভিডিও প্রকাশ করে কিছু করা যাবে না বলে উক্তি করেন।আর তাকে সম্পূর্ন সাপোর্ট করে সাংবাদিকদের ঠান্ডা মাথায় হুমকি প্রদান করেন ডাঃ মাহামুদুল হাসান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাহামুদুল হাসান।
গত ৯ এপ্রিল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায় দির্ঘদিন পরে ডাঃ শায়লা নাজনিন হাসপাতালে তার নিদৃস্ট কক্ষে রোগির সেবা প্রদান করছেন।সাংবাদিকদের উপস্থিতী টের পেয়ে তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাঃ মাহামুদুল হাসানের রুমে গিয়ে বসেন, সেখানেই সাংবাদিকদের সাথে তার কথা হয়।তার আচরনটা এমন ছিলো পারলে ঐখানেই তিনি সাংবাদিকদের মারেন।খবর নিয়ে জানা যায় ডাঃ সাহেবা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ডাঃ মাহামুদুলের একি ইউনিভার্সিটির বড় বোন,যে কারনে তার প্রশাসনিক সাপোর্ট আছে।পরে সাংবাদিকদের প্রশ্ন শুনে তিনি বলেন, এতো এতো পড়াশোনা করে এখন এমন সাংবাদিকদেরো প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।সাংবাদিকরা যা খুশি তাই করে তারা এখনতো এটা দেখছেনা তার রুমে বসে তার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসার পরেও ঘেমে গিয়ে রোগির সেবা করছিলো।তারা কখনো এটা প্রকাশ করেনা রোগি প্রাইভেট চেম্বারে গিয়ে সিজার করলে কতো ধরনের টেস্ট করতে হয়, কতো টাকা খরচ করতে হয়।২০২২শালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য মতে ৪টি সিজার হয়েছিল, এমন প্রশ্ন করলে তার উত্তরে তিনি বলেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারিয়ান সেবা প্রদানে চিকিৎসা যন্ত্র ভালো মানের নেই, তাই এখানে সেবা দেওয়া অসম্ভব। এ সময় এক সাংবাদিকের ভিডিও ক্যামেরা চালু দেখে তিনি বন্ধ করতে বলেন ও দাম্ভিকতা প্রকাশে উক্তি করেন” তার স্বামি ডিফেন্সে আছেন এই সব ভিডিও ফিডিও করে তাকে কিছুই করা যাবে না”।
এমন আচরনে যাকে প্রশ্ন করা যায়, সেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ডাঃ মাহামুদুল হাসান তার সামনেই ছিলেন, তিনি উত্তেজনা প্রশমনে সাংবাদিকদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ব্যাবস্থা নেবার হুমকি প্রদান করেন,আর এটাও মনে করিয়ে দেন অনেক কস্ট করে পড়াশুনা করে ডাঃ হতে হয়,এরা গেরা লোকেদের কথা শোনার সময় নেই।তিনি সাংবাদিক ম্যানেজ করার জন্য চেষ্টা করে বিনয়ের শুরে বলেন তার সময়ে বা তিনি জাজিরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে আজকে যে উন্নয়নের দাড়প্রান্তে নিয়ে এসেছেন তা এ যাবৎকালে কেউ পারেনি।তাই জাজিরাবাসি ও সকলের উচিত তাকে বাহবা দেওয়া।
এ সময় শরীয়তপুর সিভিল সার্জনকে মুঠোফোনে ফোন দিলে সংযোগ স্থাপন সম্ভব হয় নি।