
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
স্বৈরাচার সরকারের আমলে বাংলাদেশ নার্সিং অ্যাসোসিয়েশন মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সভাপতি ছিলেন আক্তার হোসেন। অভিযোগ রয়েছে, সে সময় নানা অনিয়ম ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি একটি দুর্নীতির সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। ওই সিন্ডিকেটের প্রভাবেই দীর্ঘদিন মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল জিম্মি অবস্থায় ছিল।
স্বৈরাচার পতনের পর আক্তার হোসেন চাকরি থেকে ইস্তফা দিলেও সম্প্রতি তিনি পদোন্নতি নিয়ে পুনরায় নিজ প্রতিষ্ঠানে ফিরে এসেছেন। এ ঘটনাকে ‘স্বৈরাচারের দোসরের পুনর্বাসন’ বলে উল্লেখ করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। তাদের মতে, তাকে এ দায়িত্বে নিয়ে আসা মানে ফ্যাসিবাদী আমলের দুর্নীতি ও বৈষম্যকে লআবারও চরিতার্থ করা।
মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. জহিরুল করিম বরাবর এ বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ জানান তারা। এ সময় নার্সেস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ন্যাব) ও বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ) মানিকগঞ্জ জেলার সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি নাহিদ মনির ও ওমর ফারুক উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে চলতি মাসের ২০ তারিখে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে আক্তার হোসেনকে নার্সিং সুপারভাইজার থেকে নার্সিং সুপারভাইজারের ইনচার্জ হিসেবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম ছাত্রনেতা ওমর ফারুক বলেন, মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নার্সিং সুপারভাইজার হিসেবে আক্তার হোসেনকে পুনর্বাসন করার প্রচেষ্টা স্বৈরাচারী শাসনের দুর্নীতিগ্রস্ত ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনার ঘৃণ্য অপচেষ্টা। এটি শুধু হাসপাতালের সেবার মানকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে না, বরং সাধারণ মানুষের চিকিৎসা অধিকারকেও জিম্মি করবে।
তিনি বলেন, মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে দুর্নীতির আঁতুড়ঘর হতে দেওয়া হবে না। জনগণের স্বাস্থ্য অধিকার নিয়ে কোনো প্রকার ছিনিমিনি খেলা বরদাশত করা হবে না। আক্তার হোসেনকে অবিলম্বে নার্সিং সুপারভাইজারের পদ থেকে অপসারণ করতে হবে। অন্যথায় বিপ্লবী ছাত্রসমাজ তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করবে এবং প্রয়োজনে এ সকল ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এসময় আক্তার হোসেন বলেন, আমার কোন রাজনৈতিক পরিচয় নেই। তবে- সরকারি চাকরি করলে যে সরকার আসে, তার জন্য কাজ করতে হয়। ২০২২ সালে কর্ণেল মালেক মেডিকেল হাসপাতালের বিএনএ সভাপতি ছিলাম- এতে দোষের কি আছে।
এ বিষয়ে মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডা. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যাকে ভালো মনে করেছে- তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর হাসপাতালে যারা চাকরি করেন, তারা কোন দল করেন না।
মন্তব্য করুন
Design & Developed by BD IT HOST