
নিউজ ডেক্সঃ
মানিকগঞ্জ শিশু হাসপাতালে অনুমোদিত শয্যার চার গুণ বেশি রোগী ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রোগী অনুযায়ী পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেই। নার্স থাকলেও তাদের সেবা নিয়ে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। দীর্ঘদিন ধরে এমন অনিয়ম চললেও হাসপাতালটির বিরুদ্ধে কার্যত কোন ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।
হাসপাতালটির অবস্থান মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জয়রা রোডে। নথিপত্রে এর নাম “মানিকগঞ্জ শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল” হলেও সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে “মানিকগঞ্জ শিশু হাসপাতাল” নামে। এর চেয়ারম্যান মো. সেলিম মিয়া নামে এক ব্যক্তি।
সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, রিসিপশন ডেস্কের সামনে শিশু রোগীর স্বজনদের প্রচন্ড ভীড়। সবাই এসেছেন শিশুদের ভর্তি করানোর জন্য। নিচতলায় ঢুকতেই ডানপাশে রয়েছে একটি ফার্মেসি। তার ঠিক পরের কক্ষটিই আবাসিক চিকিৎসকের জন্য। পাঁচফুট বাই দশফুটের কক্ষটিতে একসঙ্গে দু’জন চিকিৎসকের চেম্বার করা হয়েছে। নিচতলাতেই রয়েছে প্যাথলজি সেন্টার।
দুতলা থেকে ছয়তলা পর্যন্ত ভর্তি রোগীর শয্যা করা হয়েছে। চারতলায় পাশের একটি বিল্ডিংয়ের একটি ফ্লোর নিয়ে শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সব মিলিয়ে হাসপাতালটিতে শয্যা সংখ্যা ৭৫টি। এরমধ্যে সাধারণ শয্যা ৩১টি আর কেবিন সংখ্যা ২২টি। প্রতিটি কেবিনে আবার দুটি করে শয্যা করা হয়েছে। ছয়তলাটি ক্যান্টিনের জন্য করা হলেও সেখানে ফ্লোরে বেড দিয়ে রোগী রাখা হচ্ছে।
নিয়ম অনুযায়ী, ২০ শয্যার একটি হাসপাতালে চয়জন আবাসিক চিকিৎসক ও ১২ জন ডিপ্লোমা নার্স থাকা বাধ্যতামূলক। তবে হাসপাতালে গিয়ে মাত্র দুজন চিকিৎসক পাওয়া যায়। তাদের একজন ফাহিম আবরার মবিন। যিনি ঢাকা থেকে আসেন। সপ্তাহে ডিউটি করেন ৬০ ঘন্টা। অন্যজন চিকিৎসক তানজিলা ইসলাম। তিনিও প্রতি শিফটে অর্থাৎ সপ্তাহে ৪৮ ঘন্টা ডিউটি করেন।
শনিবার বেলা ১২টা পর্য়ন্ত মোট ৫৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছে বলে জানান চিকিৎসক ফাহিম আবরার মবিন।
কথা হয় হাসপাতালের পরিচালক ইসরাফিল খন্দকার ও চেয়ারম্যান সেলিম মিয়ার সঙ্গে। তারা হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা, ভর্তি রোগী ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের বিষয়ে সঠিক কোন তথ্য দিতে পারেননি। এমনকি হাসপাতালের প্রকৃত নাম সম্পর্কেও তারা অবগত নন।
মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. মকসেদুল মোমিন বলেন, রোববার আমার একটা ট্রেনিং আছে। সোমবার হাসপাতালে গিয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
মন্তব্য করুন
Design & Developed by BD IT HOST