
এ এস এম জুবায়ের হোসেন জুয়েল মন্ডল,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি, যৌন হয়রানি, রেজাল্ট সিন্ডিকেট, শিক্ষার্থীদের ফেল করানোর ভয় দেখানোসহ মানসিক নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া গভীর রাতে নারী শিক্ষার্থীদের ভিডিও কল ও মেসেজ দিয়ে বিরক্ত করা এবং অশালীন ভিডিও পাঠানোর কিছু ডকুমেন্টস এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে এই শিক্ষককে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।অভিযোগপত্রে তারা উল্লেখ করেছেন, কারুশিল্প ডিসিপ্লিনে শিক্ষক স্বল্পতার কারণে প্রত্যেকটা ব্যাচের সকল ব্যাবহারিক ক্লাস ও মার্কিংয়ের দায়িত্ব একাই পালন করেন তিনি। ফলে বিভাগে তিনি একনায়কতন্ত্র কায়েম করে শিক্ষার্থীদের ফেল করানোর হুমকি দিয়ে থাকেন। তিনি ক্লাসের সবার সামনে একাধিক নারী শিক্ষার্থীদের গায়ে আপত্তিকর স্থানে হাত দেন এবং অপ্রয়োজনে রাত বিরাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও কল ও যৌন ইঙ্গিতমূলক ভাষা ব্যবহার করে মেসেজ দেন।না? অনেকদিন পর দেখলাম।’ মেয়েটি কোনো সাড়া না দিলে তিনি আবার লিখেছেন, কিছুই কি বলবা না?’ আরেকজনকে লিখেছেন, ‘আমার লগে তুমি কইরা দাহাও, কী যেন ঘষে দিতে চাইছিলা।’ ‘ওই তোমার ফোনে ভিডিও কল দিলে ধরো না কেন? একবারে ফেল করাই দিমু।’, এভাবেই এক নারী শিক্ষার্থীকে হুমকি দেন তিনি।নাম প্রকাশ না করার সাথে এক ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী বলেন, আমি যখন প্রথম বর্ষে ভর্তি হই তখন তার টার্গেটের শিকার হই। তিনি বিভিন্ন সময়ে আমাকে ফোন করে ব্যক্তিগত বিষয় হস্তক্ষেপ করতেন। তিনি আমার ইনার গার্মেন্টস নিয়ে প্রতিদিন কথা বলতেন। জ্বর দেখার নাম করে হাতে, কপালে, মুখে, গলায় হাত দিতেন। উরু দেখিয়ে ঈশারা ইঙ্গিতে সেখানে বসতে বলতেন। একদিন পেন্সিল খুঁজতেছি বলায়, পেনিস খুঁজতেছি কিনা জানতে চেয়ে কটূক্তি করেন। প্রায় প্রায়ই হাত দেখতে চাওয়া, হাতের আঙুল ধরে ধরে নখ দেখা এবং জিজ্ঞেস করতেন আঙুল দিয়ে (মেয়েলি সেক্সচুয়াল) কিছু করি কিনা। আমি কারোর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেছি কিনা জানতে চেয়ে বিরক্ত করতেন। আমি এই বাজে মানুষটার কঠিন শাস্তি চাই।
মন্তব্য করুন
Design & Developed by BD IT HOST