সানজিদ মাহমুদ, নিজস্ব প্রতিবেদক শরীয়তপুর পারিবারিক সূত্র মতে গত ১৩ তারিখ জেলে অসুস্থ হয়ে পরায়, কারা কতৃপক্ষ দ্রুত,ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন,জাহাঙ্গীর মির (৬০)পিতা মৃত আবুল হাশেম মিরকে।পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারাযান জাহাঙ্গীর মির।আইনি জটিলতার কারনে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তরে বিলম্বিত হচ্ছে বলে জানা যায়।আর এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিকদের সামনে প্রকৃত রহস্য-মাখা ঘটনা তুলে ধরেন জাহাঙ্গীর মিরের মেয়ে সোনিয়া (২৪)
তিনি কাদতে কাদতে বলেন: আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবার, খুব কস্ট কইরাই আমাদের বাবা সংসার চালাতেন। আমার বাবার এই অসহায়ত্ত দেখে, তাকে চাকরির প্রলোভন দেখায়, আমাদের এই গ্রামের আমার দূরসম্পর্কের খালাতো ভাই আকতার মাদবর, পিতা : ওয়াজুল মাদবর,গ্রাম:সদর আলী মাদবর কান্দি ৫ নং ওয়ার্ড, বিকেনগড় ইউনিয়ন। সে বাশায় এসে আমার ও মায়ের সামনে আমার বাবাকে বলে,আপনি ইন্ডিয়া যাবেন সেখান হতে কসমেটিক্স ভর্তি লাগেজ নিয়ে আসবেন, আপনার নিজের জন্যও কিছু আনবেন,আপনার যাবতীয় খরচ আমার,শর্ত একটাই আমার ব্যাগের তালা খোলা যাবে না,আর খুললে মাল হারালে সবদায়িত্ব আপনার।আর প্রতি মাসে এর জন্য আপনি বেতন পাবেন।পরে আমাদের কথায় সে রাজি হয়।প্রায় ৬২ বার সে আসা যাওয়া করে। পরে গত বছর নভেম্বরের ১৫ তারিখে বাসায় আসার কথা থাকলেও বাবায় আর আসে নাই।আমরা পরে হুনছি ইয়ারপোর্টে ধরা খাইছে টাকা টুকা আরো মালসামানা লইয়া।ভাই এই আকতার আর ওর লগের পার্টনার, রোমান মাদবর পিতা মতি মাদবর, আরো জুয়েল মাদবর , সাহেব বাজারের, বাড়িতে আইয়া আমাগো কইলো তোর বাপে যাতে আমাগো কথা না বলে, তাইলে হের জামিন করাইতে পারমুনা।তোরা তোর বাপেরে বুঝা।আর আমার বাপেরে কইছে নাম কইলে আমাগো মাইরালাইবো ক্ষতি করবো,নাকইলে মাসে মাসে বেতন দিতে থাকবো।আমাগো কথা চিন্তা কইরা আমার বাপে জবানবন্দিতে কারো নাম কয় নাই।আর ওরাও জবানবন্দির পর আমাগো খোজ লয়নাই।আমার বাপে কাইল মরছে ওরা রাইতেই লোক পাঠাইছে ৮লাখ টাকা দিবো।ভাই আমরা টাকা দিয়া কি করমু আমার বাপের লাশ আনতে পারছিনা।আপনারা এহন যাইবেন ওরা দলবাইন্দা আইবো হুমকি দিতে,মাইরা লাউগ আমাগো।আপনারা এমন জানোয়ার গুলার বিচার কইরেন। কথা গুলো বলতে বলতে বার বার কান্নায় ভেংগে পরছেন।আশে পাশে বসা আত্মীয় স্বজন কেউ সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে বারন করছেন, আবার কেউ ঘটনার সত্যতা স্বিকার করছেন।
বিকেনগড় ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেসা করা হলে তিনি বলেন তিনি শুনেছেন ওরা এ ব্যাবসা করে।তবে এর বেশি তিনি কিছু জানেন না।
নাম প্রকাশ না করার সার্থে এলাকার কিছু তরুন বলেন আকতার মাদবর দির্ঘদিন ধরে এই লাগেজ ব্যাবসা করে।কখনো মালেশিয়া, কখনো দুবাই, কখনো ভারতে থাকে।তার বোন রিমা, এই লাগেজ নিয়া ধরা খাইছে।অনেক টাকা খরচ কইরা ছারায়ে আনছে।
খবর লেখার সময়ে জানা যায় লাশ হাসপাতালে একজন ম্যাজিস্ট্রেট এর উস্থিতিতে হস্তান্তর করা হয়েছে।পরিবারের দাবি একটাই এই ঘৃন্য মানুষের বিচার হোক।