এমএ রফিক
জামালপুর জেলা শহরে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রনাধীন প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র। এই কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রতিবন্ধীরা পাচ্ছে চিকিৎসা ও পরামর্শ, ফিজিওথেরাপী, স্পিচথেরাপী, অকুপেশনালথেরাপী, কানের পরীক্ষা, চোখের পরীক্ষা, কাউন্সিলিং, প্রতিবন্ধীদের সহায়ক উপকরণ। জানা যায়, ১৯৮৭ ইং সালে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবাসহ প্রতিবন্ধীরা সহায়ক উপকরণ পেয়ে যাচ্ছে। এছাড়া প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বিদ্যালয়, সেখানে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা শিক্ষা উপকরণ সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পেয়ে আসছে। এ বিষয়ে জামালপুরের প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা ইশরাকী ফাতেমা বলেন, আমরা প্রতিবন্ধীদের তথ্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন চিকিৎসা ও সহায়ক উপকরণ বিতরণ করে আসছি। ২০২৩ ইং সালে জামালপুর প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র থেকে প্রায় শতাধিক শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়েছে। এতে করে তাদের জীবন চলার পথ সহজ হয়েছে। এ বিষয়ে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা লিটুস লরেন্স চিরানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীরা আমাদের সমাজের বোঝা নয়। তারাও আমাদের মতো সুযোগ সুবিধা পেলে নিজেরাও কর্মময় হয়ে উঠবে। এই লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবন্ধী কোঠা চালু রেখেছেন এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র দ্বারা সুযোগ সুবিধা প্রদান করে যাচ্ছে। এই সেবা কেন্দ্রে সেবা নিতে আসা শরীফপুর ইউনিয়নের শারীরিক প্রতিবন্ধী আফসানা আক্তার মিম বলেন, আমার একটি হুইল চেয়ারের খুবই দরকার ছিল। এর জন্য আমার জীবন চলাচল খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। বিষয়টি সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা লিটুস লরেন্স চিরান জানতে পেরে তাৎক্ষনিক তার অভিভাবকের কাছে প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র এর মাধ্যমে একটি হুইল চেয়ার প্রদান করেন। এ বিষয়ে আফসানা আক্তার মিমের মা মোছাঃ আলিয়া খাতুন বলেন, আমরা ভাবতে পারিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমাদের মেয়ের বিষয়ে জানতে পেরে এতো দ্রুত আমাদের মেয়ের জন্য একটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করে দিবে। আমরা তার কাছে কৃতজ্ঞ। সেই সাথে প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র’র পরিচালক ইশরাকী ফাতেমার নিকট আমরা কৃতজ্ঞ। বর্তমানে মেয়েটিকে আর কষ্ট করে চলাফেরা করতে হচ্ছে না।