• সিলেট ভূমি অধিগ্রহণ অফিস ভূয়া এফিডেভিট দিয়ে ৩০ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ।

      প্রতিনিধি ২৮ মার্চ ২০২৩ , ১২:২৮:১১ প্রিন্ট সংস্করণ

    সিলেট থেকে নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    সিলেট ভূমি অধিগ্রহণ অফিসের সার্ভেয়ার রফিক ও কানুনগোর যোগ সাজসে ভূয়া এফিডেভিট দিয়ে ৩০ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
    এবিষয়ে খোঁজ করে এফিডেভিট মেট্টোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট ২য় আদালত কর্তৃক অনুসন্ধানে এ ধরনের কোন এফিডেভিট অত্র আদালত থেকে হয় নাই। ভূয়া এফিডেভিটের মাধ্যমে ভূয়া মালিক সাজিয়ে সরকারের ৩০ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
    সিলেটের গোলাপগঞ্জের রণকেলী উত্তর গ্রামের রুবি খানম চৌধুরী এলএ কেস নং- ০৮/২০২০-২১ নম্বর এল এ মামলা মূলে অধিগ্রহণকৃত ২৮ নম্বর জেএল স্থিত রণকেলী মৌজার ১১৪৮ নম্বর খতিয়ানের ২৫৭৩ নম্বর দাগে ০.১৪৫০ একর ভূমির ক্ষতিপূরণ গ্রহণের জন্য আবেদন করেন। বর্ণিত খতিয়ানটি পর্যালোচনায় দেখা যায়,রেকর্ডীয় মালিক আব্দুল ওয়াহিদ চৌধুরী পিতা আব্দুল হাসিন চৌধুরী কিন্তু নথিতে দাখিলকৃত দলিল পর্যালোচনায় দেখা যায় রেকর্ডীয় মালিক আব্দুল ওয়াহিদ চৌধুরী পিতা সরাফত আলী চৌধুরী। রুবি খানম চৌধুরী দলিল মূলে মালিকানা দাবি করেন।
    এসএ রেকর্ডীয় মালিক আব্দুল ওয়াহিদ চৌধুরী পিতা আব্দুল হাসিন চৌধুরী ও রুবি খানম চৌধুরীর দাখিলকৃত দলিলের সরাফত আলী চৌধুরী একই ব্যক্তি বলে রুবি খানম চৌধুরী গোলাপগঞ্জ পৌরসভার স্থানীয় কাউন্সিলর ফারুক আলী ১৫/১১/২০২২ ইং তারিখে একটি প্রত্যয়ন দেন। যা এলএ অফিসার কর্তৃক গ্রহণযোগ্য হয় নাই। ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা গত ২২/১২/ ২০২২ ইং ০৫.৪৬.৯১০০.০১২.৩৩.০০২.২২.৭৭৮ নং স্মারকে নামের সঠিকতা যাচাইয়ের জন্য গোলাপগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি)-কে একখানা চিঠি দেন। এদিকে ভূমি অধিগ্রহণ অফিসের সাভেয়ার রফিক ও কানুনগো স্থানীয় মুর্শেদ চৌধুরী নামে এক ব্যক্তির নামে মেট্টোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট ২য় আদালত, সিলেট এর নামে একটি ভূয়া এফিডেভিট তৈরি করেন। এফিডেভিটে মুর্শেদ চৌধুরী আব্দুল হাসিন চৌধুরীকে নিজের নানা বলে উল্লেখ করেন এবং আব্দুল হাসিন চৌধুরী ও সরাফত আলী চৌধুরী একই ব্যক্তি বলে দাবী করেন। এই এফিডেভিট দিয়ে গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়রের কাছ থেকে আব্দুল হাসিন চৌধুরী ও সরাফত আলী চৌধুরী একই ব্যক্তি বলে প্রত্যয়ণ পত্র সংগ্রহ করেন। এই প্রত্যয়ণপত্রের আলোকে রাণাপিং ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা হরিদাস বিশ্বাস ০৬/০২/২০২৩ ইং গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র কর্তৃক দাখিলকৃত প্রতয়ণের আলোকে নামের সঠিকতা পাওয়া যায় বলে গোলাপগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)-কে ২১ নং স্মারকে চিঠি দেন। গোলাপগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম মজুমদার ০৮/০২/২০২৩ইং রাণাপিং ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা হরিদাস বিশ্বাস এর পত্রের আলোকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। উর্পযুক্ত প্রত্যয়ন ও চিঠির আলোকে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা, সিলেটকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গোলাপগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিত চৌধুরী স্মারক নং-৩১.৪৬.৯১৩৮.০০১.০৮.০০২.২২.৯০ নং স্মারকে অনুরোধ করেন। ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা গত ২০/০৩/২০২৩ ইং ৩০ লক্ষাধিক টাকার বিল প্রদান করেন।

    আরও খবর

    Sponsered content

    Design & Developed by BD IT HOST