অন্যান্য

ধোয়াসার মধ্যেই রইলো জজিরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দরপত্র

  প্রতিনিধি ১৫ মার্চ ২০২৩ , ৭:৩৯:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক শরীয়তপুর :

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হাসান, রাব (R.A.B) সদস্য ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাষন, সাংবাদিক ও কন্ট্রাকটরদের একাংশের উপস্থিস্থিতিতে টেন্ডার বাক্স খুলে ১১টি কোম্পানির নামে ক-চ পর্যন্ত দরপত্র পাওয়া যায়।কিন্তু তা কমিটি করে খুলে মন্ত্রনালয়ে সর্বোনিম্ন রেট ধারির নাম পাঠানো হবে বলে,হাসপাতাল কতৃপক্ষ হতে সরাসরি জানানো হয়।দরপত্র জমাদান কারি কয়েকজন দাবি জানায় সবার সম্মুক্ষে তা খুলে সর্বনিম্ন রেট ধারির নাম প্রকাশ করতে। পক্ষান্তরে হাসপাতালে কতৃপক্ষ তা না করায়, দূনির্তীর আশ্রয় নিয়ে অন্যকে পাইয়ে দেওয়ার মত কাজ করতে পারেন বলে অভিযোগ করেন।

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের দরপত্র আহবানের টেন্ডার বাক্স ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হাসান। গত ১৩-০২-২৩ ইং সকালে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য- কমপ্লেক্সের সম্প্রসারিত ভবনের দ্বিতীয় তলার টেন্ডার ওপেনিং স্পট থেকে টেন্ডার বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগে পূনরায় দরপত্র আহবান করেন। যার জমাদান এবং খোলার সময় ছিলো আজ ১৫ই মার্চ ২০২৩ তারিখ।হাসপাতাল কতৃপক্ষ এ কারনে আইন-শৃংখলার অবনতির সংকায়,
পুলিশ প্রশাষন ও অন্যান্য সংশ্লিস্ট দপ্তরের সাহায্য চাইলে, তারা সকাল ৭ টা হতে কাজ করা শুরু করে। পরে বেলা ১২টায় টেন্ডার বন্ধ করে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মাহামুদুল হাসানের রুমে নিয়ে বেলা ১২টা ৩০ মিনিটে সকলের উপস্থিতিতে বাক্সটি খুলে ১১টি কোম্পানির দরপত্র পাওয়া যায়।দরপত্র ক হতে চ পর্যন্ত প্রতিটা কোম্পানির নামে জমা পরেছে, এটা স্পষ্ট প্রতিয়মান হয়।কিন্তু হাসপাতাল কতৃপক্ষ এগুলো না খুলে সবাইকে এই মর্মে জানান যে, এটা খুলে দেখবে ও যাচাই বাছাই করবে, বাছাই কমিটির লোকজন।এরপর সর্বনিম্ন রেট দান কারির নাম সুপারিশ করে, তারা মন্ত্রনালয়ে প্রেরন করবে ও সবাইকে জানিয়ে দিবে।উপস্থিত মতে একজন ঠিকাদার, ডিসি অফিসের বা সংশ্লিস্ট দপ্তরের লোক এনে, সময় ক্ষেপন না করে সবার সম্মুক্ষে সর্বনিম্ন রেট ধারির নাম ঘোসনা করতে বলেন।সেই সাথে তা না করলে দরপত্র গুলি পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে থানায় পাঠানোর কথাও জানান।কিন্তু কতৃপক্ষ তা করতে অস্বিকৃতি জানিয়ে বের করে দেন ও অফিস বন্ধ করে দিতে বলেন।পরে সবাই কথা না বলে মাথা নিচু করেই চলে আসতে বাধ্য হন।

হসপিটালের গেইটে কয়েকজন ঠিকাদার সাংবাদিকদের মাধ্যমে উপরোস্থ কর্মকর্তাদের দৃস্টিগোচরে জানায় এর পূর্বে কয়েকটি স্থানে এমন ঘটনা ঘটেছে,তারা দূনির্তীর আশ্রয় নিয়ে,কিছু পয়সা কমিয়ে সর্বনিম্ন রেটে এনে, কতৃপক্ষের নিজস্ব লোককে দরপত্র পাইয়ে দিতে কাজ করেন বলে এমনটাই অভিযোগ করেন।সেই সাথে তাদের সংকা কাগজগুলো পরিবর্তনের জন্যই এই দরপত্রের সর্বনিম্ন রেট না জানিয়ে অফিস বন্ধ করা হয়েছে।যেহেতু পুলিশ প্রশাসন ও R.A.B সদস্যরা উপস্থিত ছিলো তাই কোনো প্রতিবাদ করার সুযোগ নেই,বের হতে বলেছে বেরিয়ে আসলাম।শুধু শুধু আমরা দুর হতে কয়েকজন আসলাম।

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মাহামুদুল হাসান জানান আমরা এমন কোনো শংকা দেখছিনা দরপত্র থানায় রাখতে হবে।আর আমি আমার প্রসেজিওর সিডিওলের বাইরে কিছুই করতে পারি না।আর এটা করে আমি কোন অসচ্ছতা বা জবাদিহিতায় থাকতে পারি না।

জেলা সিভিল সার্জনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেস্টা করা হলে, সংযোগ পাওয়া যায় নি।

আরও খবর

Sponsered content

Design & Developed by BD IT HOST