রাজু আহমেদ, রাজশাহী : রাজশাহীর দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দূরুল হোদা অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সুনাম অর্জন করেছেন। অল্প দিনের ব্যবধানে তিনি এলাকাবাসীর কাছে প্রিয় পুলিশ কর্মকর্তা হয়ে উঠেছেন।
জানা গেছে, গত ৭ সেপ্টেম্বর দুর্গাপুর থানায় যোগদান করেছেন ওসি দূরুল হোদা। থানায় যোগদানের পর থেকেই তিনি অপরাধীদের কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে উঠেছেন। কমে গেছে চুরি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি সহ অন্যান্য অপরাধমূলক ঘটনা। মাদক ব্যবসায়ীরাও রয়েছেন আতঙ্কে। অনেকেই মাদক ব্যবসা ছেড়ে এখন অন্যান্য পেশায় মনোনিবেশ করছেন।
প্রায় দুই মাসে পুরো থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। ব্যবসায়ীরাও নির্বিঘ্নে তাদের ব্যবসায়ীক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারছেন। স্কুল-কলেজের ফটকে কমছে বখাটে যুবকদের আনাগোনা। দালাল মুক্ত হয়েছে থানা চত্বর।
সুশীল সমাজের প্রতিনিধি নুরুল ইসলাম বলেন, উপজেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে কোনো সময়ের চাইতে এখন অনেকটাই ভালো। অপরাধ প্রবণতা নাই বললেই চলে। সদ্য যোগদান করা ওসি দূরুল হোদার অসাধারণ ভূমিকায় এখন সাধারণ মানুষ আর উদ্বিগ্ন নন। মানুষ এখন শান্তিতে ঘুমাতে পারছেন।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান লিটন বলেন, মানুষের জীবনমান উন্নয়নে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা অপরিহার্য। এক্ষেত্রে স্থানীয় থানা পুলিশের আরও বেশি ভুমিকা থাকে। যে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যত উন্নত, সেই এলাকার মানুষের জীবনমান ততটাই উন্নত। থানার বর্তমান ওসি দূরুল হোদা যোগদানের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বেশ উন্নতি হয়েছে। আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকলে দুর্গাপুর উপজেলা জুড়ে শান্তির সুবাতাস বইবে নিঃসন্দেহে।
দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) দুরুল হোদা বলেন,মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, আর্থসামাজিক উন্নয়ন সহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। সেই সাথে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর হারানো ভাবমূর্তি ফিরিয়ে এনে দুর্গাপুর থানাকে একটি মডেল থানা গড়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখবো। এক্ষেত্রে এই উপজেলার সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সার্বিক সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।
ওসি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী। এ লক্ষ্যে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সমাজের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গকে সাথে নিয়ে এই অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি ও গণসংযোগ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনতে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা পরিদর্শন, মতবিনিময় ও সম্প্রীতি সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে মুসলিম ও হিন্দুসহ-ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশী টহল জোরদার করা হয়েছে। থানার স্বাভাবিক কার্যক্রম ফিরিয়ে আনতে নিরাপত্তা জোরদার ও আশেপাশের এলাকায় টহল পরিচালনার পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে গণসংযোগ, মতবিনিময় সভা ও সমাবেশের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।