জেলা প্রতিনিধি,ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও ) এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করেছেন অর্থনৈতীক শুমারী কাজে ফিল্ড পর্যায়ের কাজ থেকে বঞ্চিতরা। এ সময় শতাধিক বিভিন্ন দলীয় নেতা কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,২০১৮ সালে অর্থনৈতিক আদমশুমারি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ফিন্ড পর্যায়ে ১১৮ জন কে নিয়োগ দেয়া হয়। যা ছিল পতিত আওয়ামীলীগের নেতা কর্মী ও তাদের সন্তানেরা।
ঐ সময় অন্য কোন দলের কোন লোক নিয়োগ দেয়া হয়নি। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে আওয়ামী দলীয় নিয়োগ বাতিল পূর্বক নতুন করে নিয়োগ দেয়ার জন্য দাবী জানান আন্দোলনকারীরা। কিন্তু হঠ্যাৎ করেই উপজেলা নির্বাহী অফিসার উছেন মে নিজের ইচ্ছে মত আগের ১১৮ জনের মধ্যে ৭৯ জনের নিয়োগ বহাল রেখে নতুন করে আরো ৩৫ জনের নিয়োগ দিয়ে ভাইবা বোর্ডের ব্যবস্থা করেন। এমন খবর শুনে ছাত্র জনতা ও বিএনপির নেতা কর্মীরা।বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ইউএনও অফিসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন কোটচাঁদপুর সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি কামরুজ্জামান সিদ্দিক, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক ফয়েজ আহমেদ তুফান, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাহফুজুল আলম মামুন, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক লিয়ন, পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব ফজলে রাব্বি, উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক আশাদুল ইসলাম, উপজেলা কৃষকদলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক আবুল কাশেম, পৌর মৎস্যজিবি দল সদস্য সচিব বাবুল আক্তার, সহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশ সহ আরো অনেকে। প্রতিবাদ সভায় বক্তারা ২০১৮ সালের অবৈধ নিয়োগ বাতিল করে পূনরায় নতুন করে নিয়োগ দেয়ার দাবী জানান।
অন্যথায় কঠোর কর্মসূচীর ঘোষনা দেন। অবস্থা বেগতিক দেখে কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভাইবা বোর্ড বাতিল করে পূনরায় নিয়োগ দেবেন বলে আশ্বাস দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেই আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা তাদের আন্দোলন সাময়িকভাবে স্থগিত করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উছেন মে বলেন,কোন বিষয়ে বিক্ষোভ করেছেন তারা আমি জানিনা। আর ওই সময় আমি অফিসে ছিলাম না।